৭২ ঘন্টার মধ্যে হত্যা মামলার এজাহারনামীয় ০১ জন পলাতক আসামীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৩
উল্লেখ যে, ভিকটম চিরিরবন্দর থানাধীন ফতেজংপুর এলাকার ইপিজেড এভারগ্রীন কোম্পানিতে চাকরি করার সুবাদে গ্রেফতারকৃত আসামি সহ অন্যান্য আসামিদের সহিত পরিচয় হয়।একপর্যায়ে ১নং বিবাদী মোঃ মাহফুজুর রহমানের সাথে ভিকটিমের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠলে তারা তাদের পরিবারকে না জানিয়ে বিবাহ করে।
উক্ত বিবাহ আসামীর পরিবার মেনে না নেওয়ায় আসামি ও ভিকটিম বাদীর বাসায় বসবাস করে আসছিলেন।কয়েক মাস পরে উভয়ে পার্শ্ববর্তী এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করতে শুরু করে। ভিকটিম ও আসামির মধ্যে মনোমালিন্যতা হলে ভিকটিম তার পিতার বাসায় চলে যান, পরবর্তীতে গত ০৬/০১/২৫খ্রিঃ সময় সন্ধ্যা অনুমান ০৬:৩০ মিনিটে গ্রেফতারকৃত আসামিসহ অন্যান্য আসামীরা ভিকটিমকে ভাড়া বাসায় নিয়ে যাওয়ার জন্য বাদীর বাসায় এসে ভিকটিমকে নিয়ে যায়।গত ০৭/০১/২৫ তারিখ সকাল অনুমান ১০.০০ মিনিটে মামলার বাদি জানতে পারেন তার বোনের মৃত দেহ দিনাজপুর জেলার খানসামা থানাধীন ৬নং গোয়ালডিহি গ্রামস্থ জনৈক বাইদুল ইসলাম এর ভুট্টা খেতে পড়ে আছে। ঘটনার প্রেক্ষিতে ভিকটিমের বড় ভাই বাদী হয়ে দিনাজপুর জেলার খানসামা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
উক্ত মামলা রুজুর পর থেকেই র্যাব ছায়াতদন্ত অব্যাহত রাখে।এরই প্রেক্ষিতে অদ্য ০৯/০১/২০২৫খ্রিঃ রাত্রী ২১.০৫ ঘটিকার সময় হত্যা মামলার আত্নগোপনকৃত পলাতক আসামীর অবস্থান নির্ণয় করতঃ র্যাব-১৩, সিপিসি-১, দিনাজপুর এর চৌকস আভিযানিক দল দিনাজপুর জেলার চিরিরবন্দর থানাধীন ফতেজংপুর গ্রামস্থ (ইপিজেড এর বিপরীতে) মোঃ সাইফুল ইসলাম, পিতা- মৃত জমির উদ্দিন মন্ডল এর বসত বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে এজাহারনামীয় ২নং আসামী মোঃ সবুজ ইসলাম (২৫), পিতা- মোঃ জাহিদ, সাং- ফতেজংপুর (কামারের মোড়), থানা- চিরিরবন্দর, জেলা- দিনাজপুরকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য গ্রেফতারকৃত আসামিকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে