ডেস্ক রিপোর্ট
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল প্রত্যাখ্যান করে ১৯ ও ২০ নভেম্বর হরতালের ডাক দিয়েছে বিএনপি-জামায়াত ও সমমনা দলগুলো।
বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) বিকেলে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ভার্চুয়াল সংবাদ ব্রিফিংয়ে জানান, ঢাকাসহ দেশব্যাপী রোববার (১৯ নভেম্বর) ভোর ৬টা থেকে মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) ভোর ৬টা পর্যন্ত ৪৮ ঘণ্টার এই হরতাল চলবে।
ঘোষিত তফসিল প্রত্যাখান করে ব্রিফিংয়ে রিজভী বলেন, এই নির্বাচন কমিশন সরকারের আজ্ঞাবহ কমিশন। জনমতকে উপেক্ষা করে একতরফাভাবে তফসিল জারি করে পুরো দেশকে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিয়েছে সরকার।
এর আগে, বুধবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
তফসিল অনুযায়ী, ২০২৪ সালের সাত জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট অনুষ্ঠিত হবে। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, মনোনয়ন বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৭ ডিসেম্বর, প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর এবং নির্বাচনী প্রচারণা চলবে ১৮ ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারির ৫ তারিখ পর্যন্ত।
প্রসঙ্গত, গত ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশ পণ্ড ও নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার এবং সরকারের পদত্যাগের দাবিতে ২৯ অক্টোবর সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দেয় বিএনপি। এরপর ৩১ অক্টোবর, ১ ও ২ নভেম্বর মোট তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি-জামায়াত ও তাদের শরিকরা। এরপর ৫ ও ৬ নভেম্বর দ্বিতীয় দফায়, ৮ ও ৯ নভেম্বর তৃতীয় দফা, ১১ ও ১২ চতুর্থ দফা এবং ১৫ ও ১৬ নভেম্বর পঞ্চম দফায় অবরোধের ডাক দেওয়া হয়।
ফায়ার সার্ভিসের দেওয়া তথ্যমতে, গত ২৮ অক্টোবর সংঘর্ষের পর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে ১৫৪টি অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এরমধ্যে ২৮ অক্টোবর ২৯টি, ২৯ অক্টোবর ১৯টি, ৩০ অক্টোবর একটি, ৩১ অক্টোবর ১১টি, ১ নভেম্বর ১৪টি, ২ নভেম্বর সাতটি, ৪ নভেম্বর ছয়টি, ৫ নভেম্বর ১৩টি, ৬ নভেম্বর ১৩টি, ৭ নভেম্বর দুটি, ৮ নভেম্বর ৯টি, ৯ নভেম্বর সাতটি, ১০ নভেম্বর দুটি, ১১ নভেম্বর সাতটি, ১২ নভেম্বর সাতটি এবং ১৩ নভেম্বর সাতটি অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এসব অগ্নিসংযোগে ৯৪টি বাস রয়েছে।