ওমর ফারুক কক্সবাজার
রবিবার ৩ই ডিসেম্বর ২০২৩ইংরোজি হিউম্যান এইড ইন্টারন্যাশনাল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার উদ্যোগে ১০ডিসেম্বর২৩ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে কক্সবাজার কলাতলি কটুম বাড়ি কনফারেন্স রুমে পবিত্র কুরআন তেলওয়াত এর মাধ্যমে এই সভার আয়োজন সম্পন্ন হয়েছে।
সভায় মো:ফয়সাল চৌধুরী ও কামরুন তানিয়া এর সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন, হিউম্যান এইড ইন্টারন্যাশনাল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার কক্সবাজার জেলা সভাপতি মো:সাইদুল হক চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, নীলিমা আক্তাত চৌধুরী সহ সভাপতি কক্সবাজার জেলা শাখা,নয়ন সেলিনা সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিউম্যান এইড ইন্টারন্যাশনাল কক্সবাজার জেলা,মোস্তাক আহমদ চেয়ারম্যান সাংগঠনিক সম্পাদক হিউম্যান এইড ইন্টারন্যাশনাল কক্সবাজার জেলা, কলামিস্ট আইয়াজ রবি দৈনিক ইনকিলাব,তরুণ সাংবাদিক ওমর ফারুক সম্পাদক ও প্রকাশক দৈনিক কক্সবাজার পোস্ট, সাংবাদিক আবুল কালাম আজাদ দৈনিক কালবেলা সহ প্রমূক।
এসময় বক্তারা বলেন, মানব পরিবারের সকল সদস্যের জন্য সার্বজনীন, সহজাত, অহস্তান্তরযোগ্য এবং অলঙ্ঘনীয় অধিকারই হলো মানবাধিকার। মানবাধিকার প্রতিটি মানুষের এক ধরনের অধিকার যেটা তার জন্মগত ও অবিচ্ছেদ্য। মানুষমাত্রই এ অধিকার ভোগ করবে এবং চর্চা করবে। তবে এ চর্চা অন্যের ক্ষতিসাধন ও প্রশান্তি বিনষ্টের কারণ হতে পারবে না। মানবাধিকার সব জায়গায় এবং সবার জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য বলে বক্তব্যে একথা জানান। আরো বলেন, ১০ ডিসেম্বর বিশ্ব মানবাধিকার দিবস।
১৯৪৮ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্র গৃহীত হওয়ার স্মরণে দিবসটি পালন করা হয়। ঐ ঘোষণাপত্রটিই ছিল মানবজাতির অবিচ্ছেদ্য অধিকারের প্রথম বৈশ্বিক ঘোষণা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অবসানের মাত্র তিনবছর পর, এবং বেসামরিক মানুষজনের বিরুদ্ধে সংঘটিত ঘৃণ্য অপরাধগুলোতে তখনও যখন সকলেই হতবাক, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ একগুচ্ছ সর্বজনীন মানবাধিকারকে লিখিত আকার দেওয়াকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়। চূড়ান্ত ঘোষণাপত্রটি এই প্রেক্ষাপটের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা যে, সব মানুষই স্বাধীন এবং মর্যাদা ও অধিকারের ক্ষেত্রে সমকক্ষ হয়ে জন্মগ্রহণ করে, যা কিনা ঘোষণাপত্রটির প্রথম অনুচ্ছেদে পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছে। ঘোষণাপত্রটি ১৯৫০ সালে কার্যকর হয়।
ঘোষণাপত্রটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিষয়ক আইন সহ মানবাধিকারের আন্তর্জাতিক প্রস্তাব প্রস্তুতে উদ্বুদ্ধ করেছে।
আরও পড়ৃুন:বিএনপি-জামায়াত নাশকতা করলে দাঁতভাঙ্গা জবাব দিবে এ্যাডঃ- জামাল হোসেন মিয়া
তৎকালীন নবগঠিত জাতিসংঘের এই গুরুত্বপূর্ণ অর্জনটিকে স্মরণ করতে, ১৯৫০ সাল থেকে ১০ ডিসেম্বরকে বার্ষিকভাবে মানবাধিকার দিবস হিসেবে উদযাপন করা হয়েছে। নোবেল শান্তি পুরস্কারটি সেই বছরের বিজয়ীর হাতে এই দিনেই আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে দেওয়া হয় এবং প্রতিবছরের উদযাপনকে মানবাধিকারের কোন ভিন্ন অভিমুখকে নিবেদিত করা হয়। এই বছরের মূলভাবটি হল “সবার জন্য মর্যাদা, স্বাধীনতা, এবং ন্যায়বিচার”।
সেই ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসটি পালন করতে হিউম্যান এইড ইন্টারন্যাশনাল মানবাধিকার সংস্থা কক্সবাজার জেলা শাখার প্রস্ততি সভা আজ সম্পন্ন করা হয়,সাথে উদ্যোগ নেই বিভিন্ন কর্মসূচি।