মিজানুর রহমান, ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি
ফরিদপুরের নগরকান্দায় গভীর রাতে পরকীয়া করতে গিয়ে গণধোলাইয়ে মারাত্মক ভাবে আহত হয়ে বর্তমানে ফরিদপুর শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে জালাল মাতুব্বর।
জানা গেছে ঘটনাটি ঘটেছে, উপজেলার লস্করদিয়া ইউনিয়নের লস্করপুর গ্রামে।গত শুক্রবার লস্করপুর গ্রামের সামাদ শেখের প্রবাসী ছেলে রনি শেখের স্ত্রী জামেলা বেগমের বসত ঘরে প্রবেসের সময় স্থানীয়রা ধরে মারপিট করলে গুরুতর আহত হয় জালাল মাতুব্বর। এ সময় তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।জালাল মাতুব্বর একই ইউনিয়নের শাকরাইল গ্রামের মোতালেব মাতুব্বরের ছেলে।সে এলাকায় আরো এরকম ঘটনা একাধিকবার ঘটিয়েছে বলে এলাকাবাসী জানান।
জালাল মাতুব্বরের সাথে জামেলার দীর্ঘ দিন যাবৎ অবৈধ সম্পর্ক চলে আসছে। এর আগেও একই ধরনের ঘটনায় জালালকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করে জামেলাকে প্রদান করে স্থানীয় মাতুব্বররা। তারপরেও থামেনি তাদের অনৈতিক সম্পর্ক। লোকচোখের আড়ালেই চলে তাদের এ অপকর্ম। তারই ধারায় গত শুক্রবার গভীর রাতে জামেলার ঘরে ঢোকার চেষ্টা কালে স্থানীয়রা জালালকে হাতে নাতে ধরার সময় জালাল দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। তখন লোকজন জালালকে ধরে উত্তম মাধ্যম দিলে সে গুরুতর ভাবে আহত হলে তাকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
জামেলার শশুর শেখ সামাদ বলেন, এর আগেও আমার ছেলের বউ জামেলার সাথেই এই জালালের অপকর্ম ধরা পড়লে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করে শালিসের মাধ্যমে। সেই টাকাও জামেলাকে দেওয়া হয়। এরপরেও থামেনাই ওদের কুকর্ম। এই ঘটনার সময় আমার আরেক ছেলে জনির পা গ্রামবাসীর বারির আঘাতে ভেঙে গেছে।
এব্যাপারে জামেলা এ ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, এটা আমার বিরুদ্ধে অপবাদ দেওয়া ছাড়া আর কিছুই না। জালালের সাথে আমার কোন পরকীয়া নাই।
আরো পড়ুন, দৈনিক তালাশ টাইমস্ এ