মো. মোরসালিন ইসলাম, দিনাজপুর প্রতিনিধি
ভারতীয় পূর্বাঞ্চলে কমান্ডের লেফটেন্যান্ট জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরার অধিনায়কত্বে ১৯৭১ সালের ৩ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ভারত যৌথ কমান্ড ঘোষিত হয়। ভারতীয় সামরিক বাহিনী ও বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের সমন্বয়ে গঠিত হয় মিএবাহিনী। ওই দিন গভীর রাতেই মিএবাহিনী অবরুদ্ধ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মুক্ত এলাকায় অবস্হিত মুক্তি বাহিনীর সঙ্গে যোগদেয়। দখলদার হানাদার বাহিনীর সঙ্গে মরণপণ যুদ্ধরত বাংলাদেশের সামরিক বাহিনী ও মুক্তিবাহিনীর সহায়তায় মিএবাহিনী বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এ সময় নবম ডিবিশন গরীবপুর – জগন্নাথপুর হয়ে যশোর- ঢাকা মহাসড়কসহ চতুর্থ ডিবিশন ষষ্ঠ ডিবিশনের বেশ কয়েকটি রুট দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এতে যশোর, কুষ্টিয়া, দিনাজপুরের ফুলবাড়ী থানা সহ কয়েকটি থানা মুক্তিবাহিনীর দখলে চলে আসে ৪ ডিসেম্বর।
তাই বাংলাদেশে প্রথম ফুলবাড়ী উপজেলা হানাদার মুক্ত হয়ে বিজয় লাভ করে। সেই থেকে ফুলবাড়ীতে প্রতিবছর ফুলবাড়ী মুক্ত দিবস পালিত হয়ে আসছিলো। কিন্তু এ বছর আমাদের ফুলবাড়ী বাসির মহান বিজয়ের (৪ ডিসেম্বর) মুক্ত দিবস পালিত না হওয়ায় মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে ক্ষোভের সঙ্চার হয়।
এ বিষয়ে যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধের অনেকের সঙ্গে কথা বললে তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দুই এক জন ব্যক্তির স্বার্থ ও পলিচির কারণে এবার মুক্ত দিবস পালিত হলো না। কেন পালিত হলোনা এ প্রশ্ন সবার। অনেকে নাম প্রকাশ না করার সর্তে বলেন, এলাকার মুক্তিযোদ্ধদের দায়িত্বে থাকা ব্যাক্তিদের নির্দেশ না থাকায় এবার ফুলবাড়ী মুক্ত দিবস পালন হয় নাই।
বীর মুক্তিযোদ্ধরা সাংবাদিকদের জানান, এবার… সহায়তা না পাওয়ায় মুক্ত দিবসের অনুষ্ঠান করা সম্ভাব হয় নাই । ৪ ডিসেম্বর বেলা ১১. ৫৬ মিনিটে মুক্ত দিবসের বিজয় পতাকা উত্তোলন করতে দেখা যায়নি।ফুলবাড়ীতে প্রতিটি দিবস যথাযথভাবে পালিত হলেও এবারেও মুক্ত দিবস পালন হয় নাই। এ ইতিহাসকে সাক্ষী রেখে কমান্ডের দায়িত্বরত ব্যক্তিদের কাছে তা জানতে চায়? নতুন প্রজন্ম এ ইতিহাস থেকে কি শিক্ষা নিবে প্রশ্ন নাগরিক সমাজ ও ফুলবাড়ী বাসির।