ভোলা প্রতিনিধি
৪ সন্তানের জননী, জীবিকার তাগিদে স্বামী থাকেন প্রবাসে। এ সুযোগে নানান মানুষের সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন স্ত্রী। এলাকায় সবার মুখে মুখে এ নারীর পরকীয়ার কথা থাকলেও সাবেক সংরক্ষিত মহিলা মেম্বারের স্বামী পরকীয়া প্রেমিক হওয়ায় মুখ খোলার সাহস পায়নি কেউ। আবার সরকার দলীয় রাজনীতির ইউনিয়ন পর্যায়ের প্রভাবশালী ব্যক্তি।
বলছি রাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সংরক্ষিত সদস্য নাসরিন আক্তারের স্বামী ও গনধর্ষণ মামলার সাজাপ্রাপ্ত (আপিলে জামিন প্রাপ্ত) আসামী রাজাপুর ২নং ওয়ার্ডের আওয়ামীলীগ নেতা ভুট্রু সরদার ও একই ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের জনতাবাজার সংলগ্ম প্রবাসী নুরুল ইসলামের স্ত্রীর কথা। সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, সৌদিআরব প্রবাসী নুরুল ইসলাম দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন মাধ্যমে শুনেন যে তার স্ত্রী বিভিন্ন মানুষের সাথে পরকীয়া করে আসছেন।
বিভিন্ন সময় স্ত্রী কে সর্তক করলেও কোন কর্ণপাত করেনি তিনি বরং আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেন। সর্বশেষ ছোট দুই মেয়ের পরীক্ষা শেষে বড় মেয়ের বাসায় ঢাকা বেড়াতে পাঠিয়ে, খালি ঘরে ভুট্রু মেম্বার কে নিয়ে রাত কাটান এবং আপত্তিকর বেশ কিছু ছবি ও ভাইরাল হয়েছে।
এমন খবর পেয়ে প্রবাসী নুরুল ইসলাম কাউকে কিছু না জানিয়ে সৌদিআরব থেকে বাংলাদেশে এসে, গতকাল রাতে বাড়ীতে গিয়ে দেখেন স্ত্রী দরজা আটকিয়ে ঘরের মধ্যে অন্য পুরুষের সাথে পূর্তি করছে। স্বামী ঘরের সিঁধকেটে ভিতরে প্রবেশ করে দেখেন। ভুট্রু মেম্বারের সাথে আপত্তিকর অবস্থায় শুয়ে আসেন স্ত্রী। এ অবস্থা দেখে স্বামী ডাক চিৎকার দিলে পরকীয়া প্রেমিকসহ স্বামীকে হত্যার চেষ্টা করেন স্ত্রী।
প্রবাসী নুরুল ইসলামের মেয়ে বলেন, আমার মায়ের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ মানুষ আমাদের বললে আমরা যখন মাকে এগুলো বলি, মা উল্টা আমাদের বিরুদ্ধে বদনাম করে। আর গতকাল আমার বাবা হাতে নাতে ভুট্রু মেম্বারের সাথে ধরেছে।
অভিযুক্ত সেই প্রবাসীর স্ত্রী বলেন, ভুট্রু ভাই কালকে আসছে তবে আমার সাথে কিছু হয়নি এবং আমার সাথে ভুট্র ভাইয়ের যে ছবি ছিলো সেগুলো আমার স্বামী ভাইরাল করেছে। এ বিষয়ে অভিযুক্ত ভুট্রু মেম্বারের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তার মোবাইল বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেওয়ক সম্ভব হয়নি।