মানিকগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি
মাহাবুব আলম তুষার ঝিটকা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে রেজিষ্ট্রেশনের নামে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সরকার নির্ধারিত টাকার চাইতে কয়েকগুণ বেশি আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির মিটিং ছাড়াই প্রধান শিক্ষকের নির্দেশে এ টাকা গ্রহণ করা হয়েছে।
মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী ঝিটকা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মনোরুদ্দিনের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ পাওয়া গেছে। উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, প্রথমবারের মতো ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে।
এরজন্য সরকারি বিধি অনুযায়ী শিক্ষার্থীপ্রতি ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৮ টাকা। কিন্তু সরকার নির্ধারিত বিধি বিধানের তোয়াক্কা না করে ঝিটকা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীপ্রতি রেজিষ্ট্রেশনের জন্য আদায় করা হয়েছে ৩০০ টাকা। ওই বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী রয়েছে ২৯৮জন।
একাধিক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ষষ্ঠ শ্রেণিতে প্রথমবারের মতো রেজিষ্ট্রেশন শুরু হওয়ায় সরকারি ফি সম্পর্কে তারা অবগত নয়। প্রধান শিক্ষক যেভাবে ঘোষণা দিয়ে টাকা চেয়েছে তারা সেভাবেই টাকা দিয়েছে। রেজিষ্ট্রেশনের জন্য শিক্ষার্থীপ্রতি ৫৮ টাকার স্থলে ৩০০ টাকা আদায় করাকে প্রতারণা হিসেবে মনে করেন তারা। সেই সাথে বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটি সজাগ ও সচেতন থাকলে প্রধান শিক্ষক প্রায় তিন’শ শিক্ষার্থীর কাছ থেকে কয়েকগুন বেশি টাকা আদায় করতে পারতেন না বলে অভিমত তাদের।
এজন্য বিদ্যালয়ের বর্তমান ম্যানেজিং কমিটিকেও দোষারপ করেন তারা। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ডা. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের রেজিষ্ট্রেশন ফি কত টাকা সেটা আমার জানা নেই।
এ বিষয়ে ম্যানেজিং কমিটির কোন মিটিং হয়নি। এ বিষয়ে ঝিটকা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনোরুদ্দিন বলেন, রেজিস্ট্রেশনের জন্য শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৩০০ টাকা করে নেয়া হয়েছে। উপজেলা শিক্ষা অফিসারের সাথে কথা হয়েছে।
১০০ টাকা রেখে বাকি দুইশত টাকা প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে ফেরত দেওয়া হবে। হরিরামপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নিগার সুলতানা বলেন, এ বিষয়ে ঝিটকা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি ভুল স্বীকার করে সরকার নির্ধারিত ফি রেখে বাকি টাকা ফেরত দেবেন বলে কথা দিয়েছেন। জেলা শিক্ষা অফিসার মো. আমির হোসেন বলেন, বোর্ড নির্ধারিত ফি’র বাইরে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার কোন সুযোগ নেই। কোন প্রতিষ্ঠান অতিরিক্ত টাকা নিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।