এনামুল কবির পলাশ, স্টাফ রিপোর্টার :-
বরিশালের বানারীপাড়ায় বিলুপ্ত প্রায় দেশীয় প্রজাতির মাছ রক্ষায় আইন বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১২ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সকাল ৯ টায় উপজেলা হলরুমে দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং শামুক সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় মৎস্যজীবীদের মৎস্য আইন বিষয়ক প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হয়েছে।
এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগের উপ পরিচালক নৃপেন্দ্র নাথ বিশ্বাস। তিনি বলেন, আমাদের খাল বিলে এক সময় প্রচুর, শোল, টাকি, আইড়, মলা, ঢেলা, বেলে, ভেটকি মাছে ভরপুর ছিল। কিন্তু এখন এসব মাছ দেখা মেলে না। এদের বংশ বিস্তারে আমরাই বাধা দিয়ে এদের বিস্তার রোধ করেছি। তাই সকলকে অবৈধ জাল বন্ধ করতে হবে আইন মানতে হবে।
এতে মাছ বৃদ্ধি সাথে সাথে মৎস্যজীবীদের আয় বাড়বে। সর্বপরি মৎস্যজীবীরাই লাভবান হবে। আর আমরা চাই খাল বিল দেশীয় মাছে ভরে যাক। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল জেলা মৎস্য কর্মকর্তা রিপন কান্তি ঘোষ। তিনি বলেন, এক সময় বানারীপাড়ার সন্ধা নদীতে দেশীয় প্রজাতির মাছ প্রচুর মাছ পাওয়া যেত। কিন্তু এখন তা বিলুপ্ত প্রায়।
আরও পড়ুন:কাউনিয়ায় হাফ ইয়ারলি উপজেলা শিক্ষা উন্নয়ন কমিটির সভা
এ মাছ আমাদের ঐতিহ্য। তাই এ মাছ সংরক্ষণের জন্য সকলকে আইন মানতে হবে এবং সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। তাহলেই বৃদ্ধি পাবে দেশীয় প্রজাতির মাছ। উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো: নাসির উদ্দিন, মেরিন ফিশারিজ অফিসার প্রতুল জোদ্দার, ক্ষেত্র সহকারী জয়দেব সমদ্দার, মেরিন সহকারী হুমায়ুন কবির, দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং শামুক সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্পের মাঠ সহায়ক কর্মী মো: সুমন হাওলাদার, এনামুল কবির।
মৎস্য সম্পদ রক্ষার্থে মৎস্য আইন বাস্তবায়নের পাশাপাশি, স্থানীয়দের এবং মৎস্যজীদের সচেতনতাই ফিরে আসতে পারে আমাদের দেশীয় প্রজাতির সুস্বাদু মাছ। এতে আমাদের মাছে ভাতে বাঙ্গালী কথার ঐতিহ্য ফিরে আসবে। দেশীয় প্রজাতির মাছ সহজলভ্য হলে সহজেই মানুষ খেতে পারবে বলে আশাবাদী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা।