জাহিদুল ইসলাম গান্ধী, জামালপুর জেলা প্রতিনিধি
জামালপুরে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের “ক্ষুদ্রঋণ, আত্মকর্মসংস্থান কর্মসূচি বাস্তবায়ন ও মূল্যায়ন শীর্ষক ময়মনসিংহ বিভাগের আঞ্চলিক কর্মশালা-২০২৩-২০২৪ এবং আত্মকর্মী-যুব উদ্যোক্তা সমাবেশ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জামালপুর জেলার সুযোগ্য জেলা প্রশাসক মো: শফিউর রহমান।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডঃ গাজী মো: সাইফুজ্জামান মহাপরিচালক (গ্রেট-১) যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন মো: আব্দুর রেজ্জাক, পরিচালক (অর্থ) যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, জামালপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আনোয়ার, এ কে এম মফিজুল ইসলাম, পরিচালক (দা.বি.ও ঋণ) যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, জামালপুর জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো: সাইফুল ইসলাম খান, জামালপুর যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের ডেপুটি কো-অর্ডিনেটর মোঃ মাহবুবুর রহমান, উক্ত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জাতীয় যুব পুরস্কার প্রাপ্ত সফল আত্মকর্মী বিলকিস আক্তার।
উক্ত অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ৫ টি জেলার যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালক, সহকারী পরিচালক, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা, উপজেলা সহকারী যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা প্রমুখ।
প্রধান অতিথি যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সম্মানিত সুযোগ্য মহাপরিচালক (গ্রেট-১) ড. গাজী মো: সাইফুজ্জামান, বলেন যে, আমাদেরকে আরো এগিয়ে যেতে হবে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে যার যার অবস্থা থেকে কাজ করে যেতে হবে নতুন নতুন উদ্যোক্তা তৈরি করতে হবে তিনি সফল আত্মকর্মী, সফল সংগঠক ও উদ্যোক্তাদের কে আরও বলেন প্রত্যেকের কাজকে তুলে ধরতে হবে। আমাদেরকে ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে এখন স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে সকলকে একসাথে কাজ করে যেতে হবে তাহলেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সোনার বাংলা গড়া সম্ভব হবে। তিনি আরও বলেন চাকরি করবো না আমরা চাকরি দিবো এই স্লোগান কে সামনে রেখে আমাদেরকে উদ্যোক্তাদের আরো এগিয়ে যেতে হবে।
উক্ত অনুষ্ঠানের সভাপতি জামালপুর জেলার সুযোগ্য জেলা প্রশাসক মো: শফিউর রহমান বলেন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মাধ্যমে যে সকল যুব-যুবনারী প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন তাদেরকে আরো ফোলাআপ করতে হবে। যাতে করে প্রশিক্ষণ নেয়ার পর ঘরে না বসে থাকে পরিশেষে উনার মূল্যবান বক্তব্য শেষ করে উপস্থিত সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
উক্ত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জাতীয় যুব পুরস্কার প্রাপ্ত সফল আত্মকর্মী, যুব সংগঠক “তারকা সংঘ” এর সভাপতি ও মানবাধিকার কর্মী মো: খোরশেদ আলম তার বক্তব্যে কিছু সুপারিশ তুলে ধরেন যেমন:-
১. তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে ” উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে যুব সংগঠন গুলোকে গতিশীল করার লক্ষ্যে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মাধ্যমে লজিস্টিক সাপোর্ট দিতে হবে।
২. জাতীয় যুব নীতির সংশোধন ও সঠিক বাস্তবায়ন করতে হবে।
৩. যুব নীতিগুলোকে স্হানীয় ভাবে তৃণমূল পর্যায়ে নামিয়ে এনে কার্যকর করার চেষ্টা করতে হবে। গড়ভাবে না দেখে গোষ্ঠীবান্ধবভাবে দেখতে হবে।
৪. রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সামাজিক ও অর্থনীতির চাহিদার সাথে সমন্বয় রেখে মানসম্মত কর্মসংস্থান তৈরি করার পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। শিক্ষিত প্রতিবন্ধী যুবদের কর্মসংস্থানের বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করতে হবে।
৫. যুব সমাজের দক্ষতার ঘাটতি কোথায় তা চিহ্নিত করতে হবে এবং অঞ্চলভিত্তিক দক্ষতা উন্নয়নে জোর দিতে হবে।
৬. আত্মকর্মীদের তৃতীয় দফা সাধারণ ঋণ পরিশোধ করার পর উদ্যোক্তা ঋণের ব্যবস্হা করতে হবে।
৭. তরুণদের নতুন উদ্যোগে উৎসাহিত করতে তাদের জন্য পর্যাপ্ত তথ্য এবং উদ্যোগ বাস্তবায়নের জন্য পর্যাপ্ত সুবিধা থাকতে হবে।
৮. স্বল্প সুদে অর্থায়নের ব্যবস্থা থাকতে হবে।
তরুণদের উৎপাদনমুখী কর্মকান্ডে আনতে সরকারী, বেসরকারি খাত, গবেষণা সংস্থা এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সমন্বিত প্রচেষ্টা গ্রহণ করতে হবে।
৯. যুব সংগঠনের মাধ্যমে প্রশিক্ষিত যুবদের প্রকল্পের কাজ দিয়ে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা।
১০. একটি কার্যকরী যুব নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে হবে।
অনুষ্ঠান সঞ্চানালয়ে ছিলেন মো: হামিদুর রহমান, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা, শেরপুর সদর, শেরপুর।অনুষ্ঠানের সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন মোঃ লুৎফর রহমান, উচ্চমান সহকারী, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর জামালপুর, মো: হেলাল উদ্দিন, মো: মিজানুর রহমান,মো: দুলাল উদ্দিন, মোঃ রেজাউল করিম প্রমুখ।অনুষ্ঠান শেষে ভালো কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় মোট ৩ জন উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তাদের মাঝে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।