স্টাফ রিপোর্টার:
ঝিনাইদহ ২৫০ জেনারেল হাসপাতালে বার্ষিক পরিসংখ্যান ও ক্রেস্ট বিতরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৪ জানুয়ারী ২০২৪ তারিখে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় হাসপাতালের বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজে অবদান ও সহযোগিতা করায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার হিসেবে ক্রেস্ট বিতরণও করা হয়। ক্রেস্ট বিতরনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের এক্স সিনিয়র কনসালটেন্ট (গাইনী), ডা. ইমদাদুল হক, অনান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ঝিনাইদহ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের আর এম ও ডা. গুলশানআরা লিমা।
ঝিনাইদহ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের নবজাতক ও শিশু-কিশোর বিশেষজ্ঞ সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. আনোয়ারুল ইসলাম, ঝিনাইদহ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট (গাইনী),ডা. আলাউদ্দিন, ঝিনাইদহ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের জুনিয়র কনসালটেন্ট (গাইনী), ডা, মার্ফিয়া খাতুন, ঝিনাইদহ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের জুনিয়র কনসালটেন্ট (অর্থপেডিক), ডা. মনিরুল ইসলাম, ডা.জাকির হোসেন প্রমূখ। বার্ষিক পরিসংখ্যান ও ক্রেস্ট বিতরণী অনুষ্ঠানের আলোচনা পর্বে সভাপতিত্ব করেন ঝিনাইদহ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো: সৈয়দ রেজাউল ইসলাম। সভপতি তার বক্তব্যে বলেন, একটি সুষ্ঠু স্বাস্থ্যসেবার লক্ষে কাজ করার জন্য গঠনমূলক সমালোচনার দরকার আছে।
কিভাবে আমার ভুলগুলোকে সংশোধন করে আগামীতে আরো ভালো করে কাজ করতে পারি, সেজন্যই এই সমালোচনা দরকার। তবে সেটা হতে হবে গঠনমূলক। আর সেটা মেনে নিয়েই আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই। তিনি বলেন, আমরা ঝিনাইদহ ২৫০ শয্যা হাসপাতালে একশো ভাগ সেবা দিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি। ছোট এই দেশে মানুষের তুলনায় সম্পদ অনেক সীমাবদ্ধ।
প্রতি বছর যে বাজেট হচ্ছে সেখানে অন্যান্য খাতে যে বাজেট সেই তুলনায় স্বাস্থ্যখাতে সেইরকম কোনো বাজেট নেই। তিনি আরও বলেন, আমাদেরকে মনে করতে হবে যে, উন্নত সেবার জন্য যদি রেফার করা হয় তাহলে সেটাকে হয়রানি মনে না করে ভালো সেবার জন্য পাঠানো হচ্ছে এমনটা ভাবতে হবে। এই মানসিকতাটা আমাদের যারা সেবাগ্রহীতা আছে, তাদের মাথায় রাখতে হবে। তাহলেই আমরা একটা সুন্দর ব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারবে।
তিনি আরো বলেন, আগের চেয়ে আমরা বর্তমানে স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নত করতে পেরেছি। আগে আমাদের সদর হাসপাতাল ছিল ১০০ শয্যা এখন সেটা ২৫০ শয্যা। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, যারা ক্রেস্ট পেয়েছেন তারা যেমন কাজের প্রতি উতসাহ পাবেন ঠিক তেমনি নতুনেরা তাদের কাজের প্রতি আরো যতœবান হবেন বলে আমি মনে করি। অনুষ্ঠানটি সঞ্চলনা করেন ঝিনাইদহ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের পরিসংখ্যান কর্মকর্তা মো: কাদের মিয়া।