আসলাম খান, কাউনিয়া (রংপুর) প্রতিনিধঃ
নদীর এ পাড় ভাঙ্গে, ও পাড় গড়ে, এই তো নদী খেলা। এই ভাঙ্গা গড়ার খেলায় মেতেছে তিস্তা নদী। কাউনিয়ায় প্রতিদিন শতশত হেক্টর ফসলি জমি ও বসত ভিটা গিলে খাচ্ছে নদী, আর ফসলি জমি হারা মানুষের কান্নায় আকাশ বাতাস ভারী হয়ে উঠছে।
সরেজমিনে নদীভাঙ্গন এলাকায় গিয়ে মানুষের সাথে কথা বলে জানাগেছে খরস্রোতা তিস্তা নদী স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও খনন না করায় প্রতি বছর গিলে খাচ্ছে হাজার হাজার হেক্টর ফসলী জমি আর শতশত বাড়ি ঘর। বর্তমানে গদাই গ্রামে শুরু হয়েছে ভয়াবহ নদী ভাঙ্গন। গত দু’দিনে গদাই গ্রামের ওসমান,আব্দর রাজ্জাক, বাবুল মিয়া,ফজল মিয়া সহ ৪ টি পরিবার ভিটা মাটি হারিয়ে নির্বাক হয়ে পড়েছে। গদাই ও পাঞ্জরভাঙ্গা গ্রামের অর্ধেক ফসলী জমি ও বেশ কিছু বাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। নদী ভাঙ্গনে ফসলি জমি হারিয়ে দিশেহারা মানুষ গুলোকে নদী ভাঙ্গন রোধে আশ্বাসের বানী শোনায় মন্ত্রী, এমপি, চেয়ারম্যান ও প্রশাসন। কাজের কাজ কিছুই হয় না। নদী ভাঙ্গনে ফসলী জমি আর বাড়ি ভিটা হারিয়ে পথে বসেছে শতশত মানুষ। তাদের দুঃখ দেখার কেউ নেই। তিস্তা নদীর ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারন করেছে। তিস্তার পানি কমে যাওয়ায় বালাপাড়া ইউনিয়নের গদাই ও পাঞ্জরভাঙ্গা গ্রামের প্রায় অর্ধেক আবাদি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েগেছে। গদাই গ্রামে ভাঙ্গন রোধে এখন পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা করা হয়নি। ফলে আতংকে দিন কাটাচ্ছে নদী তীরবর্তি মানুষ গুলো। নদী গর্ভে বাড়ি ও জমি বিলিন হয়ে যাওয়া রানা, রবিউল, রাজ্জাকসহ অনেকে জানান, সবাই শুধু আসেন দেখে আশ্বাস দেন, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয় না। বালাপাড়া ইউপির চেয়ারম্যান আনছার আলী জানান, গদাই ও পাঞ্জরভাঙ্গা গ্রামে অনেক ফসলী জমি নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) রংপুর এর তত্তাবধায়ক প্রকৌশলী আহসান হাবিব, ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মহিদুল হক গদাই গ্রামের নদী ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেছেন। কিন্তু কোন সুফল পাচ্ছে না নদী পাড়ের মানুষ। গদাই ও পাঞ্জরভাঙ্গা গ্রামে মানুষ তাদের ফসলি জমি রক্ষায় সরকারের কার্যকর পদক্ষেপ দাবী করেছেন।