দোয়ারাবাজার(সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে পূর্ব বিরোধের জেরে হত্যা করার চেষ্টায় আক্রমন করে আহত ও নারীকে বিবস্ত্র করে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের লোকজনদের বিরুদ্ধে। এবিষয়ে সুনামগঞ্জ আদালতে একটি মামলা করেছেন উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের বাঁশতলা কলোনী এলাকার বাসিন্দা মৃত মফিজ মিয়ার পুত্র জহির মিয়া ( মামলা নং-১৯১/২৩)।
অভিযুক্তরা হলেন,বাঁশতলা গ্রামের মৃত হাসিম মিয়ার পুত্র বারিক মিয়া,মান্নান মিয়া,খালিক মিয়া,ছালিক মিয়া,খালিক মিয়ার পুত্র হাবিব মিয়া। জুমগাঁও গ্রামের মৃত আব্দুস সাত্তারের পুত্র রফিক মিয়া,মৃত আফতার উল্লাহর পুত্র আব্দুল করিম,আতর উল্লাহর স্ত্রী রহিমা বিবি,রফিক মিয়ার স্ত্রী আঙ্গুরা বেগম।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বাঁশতলা গ্রামের মফিজ মিয়ার পুত্র জহির মিয়ার সাথে বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো একই এলাকার বাসিন্দা মৃত হাসিম মিয়ার উপরোল্লিখিত আসামীদের সাথে। এতে গত শনিবার ১৪ অক্টোবর সকালে জহির মিয়া তার স্ত্রীকে নিয়ে মোটরসাইকেলে চড়ে ৮নং সাক্ষী সেলিম মিয়ার পাওনা টাকা পরিশোধের লক্ষ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে বাঁশতলা বিজিবি ক্যাম্পের পাশে সুইচ গেইটের সামনে পৌছালে অভিযুক্তরা দা,চাপাতি ও দেশীয় বিভিন্ন অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে মোটরসাইকেল গতিরোধ করে হত্যার উদ্দ্যেশে মারপিট শুরু করে। এসময় জহির মিয়ার স্ত্রী আয়েশা বেগম স্বামীকে বাঁচানোর জন্য এগিয়ে আসলে অভিযুক্ত আসামীগন তার পড়নের কাপড় চোপড় টেনে হেঁচড়ে বিবস্ত্র করে শ্লীলতাহানী করে। এ সময় আয়েশা বেগমের গলায় থাকা ১লক্ষ ৪০ হাজার টাকা দামের ১ভরি ৮ আনা ওজনের একটি স্বর্ণের সীতাহাড়, জহির মিয়ার প্যান্টের পকেটে থাকা ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায় তারা। পরে তাদের চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা। পরে জহির মিয়া ও তার স্ত্রী আশেয়া বেগম দোয়ারাবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা গ্রহন করেন।
এদিকে বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সঠিক তদন্ত করে আসামীদের আইনের আওতায় আনতে দাবী জানিয়েছেন তারা।