ডেস্ক রিপোর্ট
ডিম নিয়ে নানা মুখরোচক কল্পকাহিনি, রম্যলেখা, সাহিত্য, কবিতা, গল্প, উপন্যাস রয়েছে। আমাদের সংস্কৃতিতে পরীক্ষা খারাপ হলে ‘ডিম পাবে’, নেতিবাচক কোনো কিছু হলে ‘ঘোড়ার ডিম’, ক্ষুব্ধ হওয়ার ক্ষেত্রে ‘পচা ডিম’ ইত্যাদি রয়েছে।
পৃথিবীর সব দেশেই ডিম নিয়ে রয়েছে রূপকথা। কোনো ডিম সোনার, কোনো ডিম কথা বলে। ডিম নিয়ে গল্প রয়েছে বাংলাদেশেও।
যেমন, এক কৃষক অলৌকিকভাবে একদিন একটি সোনার ডিম পাড়া মুরগি পেল। সে তার বউকে এসে মুরগিটি দিয়ে বলল, এটার দিকে বিশেষ খেয়াল রেখো, ঠিকঠাক মতো খেতে দেবে। বিনিময়ে সে রোজ সকালে একটি সোনার ডিম পাড়বে। এভাবেই প্রতিদিন তার বউ সকালে উঠে একটি করে সোনার ডিম সংগ্রহ করত।
এভাবে দিন কাটছিল তাদের। একদিন কৃষকের বউয়ের লোভ হলো। সে ভাবল, নিশ্চয় মুরগিটার পেট ভর্তি অনেক সোনার ডিম আছে। তাই সে ঠিক করল, একসঙ্গে সবকটা ডিম বের করে নেবে। তাই মুরগিটা জবাই করে পেট কাটল সে। কিন্তু অবাক হয়ে দেখল, অন্য যে কোনো মুরগির মতোই এর পেটে কোনো ডিম নেই। বোকা ও লোভী রাতারাতি বড়লোক হতে গিয়ে নিশ্চিন্তে রোজ যেটা পাচ্ছিল সেটাও হারিয়ে বসল। যে কারণে আমরা বলি লোভের পরিণতি সর্বনাশ। তাই লোভ কোরো না।