নিজস্ব প্রতিবেদক
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থানা এলাকার চাঞ্চল্যকর ১৪ বছরের শিশু গণ-ধর্ষণ মামলার অন্যতম আসামী শহীদ শেখ আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় র্যাব-১৩, সিপিসি-৩ ও র্যাব-১০, সিপিসি-৩, ফরিদপুর এর যৌথ অভিযানে ফরিদপুর জেলার কোতয়ালী থানাধীন আলীপুর কবরস্থানের সামনে পাকা রাস্তার উপর হতে গ্রেফতার।
এজাহার সূত্রে জানা যায় যে, এজাহার সূত্রে জানা যায় যে, আসামী ১। মোঃ মনির হোসেন (২২), পিতা-মোঃ জাহিদুল শেখ, ২। মোঃ অসীম শেখ বেঙ্গু (২০), পিতা-মোঃ মজনু শেখ, ৩। মোঃ শহিদ শেখ (২২), পিতা-মোঃ শরিফুল শেখ, সর্ব সাং-শালমারা, পোঃ জালালাবাদ, ইউ.পি: শালমারা, থানা-গোবিন্দগঞ্জ, জেলা-গাইবান্ধা গত ইং ০৪/০২/২০২৪ তারিখ সন্ধ্যা অনুমান ০৭:৩০ ঘটিকায় ১ নং আসামী বাদী মোঃ আশরাফুল ইসলাম (৪১), পিতা-মৃত মসতুল্যা, সাং-শালমারা, পোঃ জালালাবাদ, থানা-গোবিন্দগঞ্জ, জেলা-গাইবান্ধার বাড়িতে গিয়ে বাদী ও তার স্ত্রীর অজান্তে বাদীর নাবালিকা মেয়ে জান্নাতি খাতুন (১৪) কে কথা আছে বলে বাদীর বাড়ি থেকে সুকৌশলে ডাকিয়া শালমারা মৌজাস্থ কাটাখালী নদীর কিনারে ভুট্টার ক্ষেতে নিয়া প্রথমে ১নং আসামী, পরে ২নং আসামী এবং ৩নং আসামীগণ পালাক্রমে ধর্ষণ করে ভিকটিমকে একাকী বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। আসামীগণ ভিকটিমকে ঘটনাটি কাউকে না বলার জন্য ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে। পরবর্তীতে ভিকটিম ঠিকমত খাবার খাইতে পারে না। সন্দেহবশত গত ইং ১৪/০৪/২০২৪ তারিখ ভিকটিমকে সোনাতলা ডিজিটাল ডায়গনস্টিক এন্ড কনসালটেশন সেন্টার, সোনাতলা, বগুড়া নিয়া গর্ভ পরীক্ষাকালে জানতে পারে ভিকটিম ০৯ সপ্তাহের গর্ভবর্তী। তখন বাদীর চাপে ভিকটিম উক্ত ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জানালে ভিকটিমের পিতা বাদী হয়ে গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ থানায় এজাহার দায়ের করেন। যাহার মামলা নাম্বার-৩১/১৫৮, তারিখ-১৯/০৪/২০২৪, ধারা-২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশাধনী-২০০৩) এর ৯(৩) । উক্ত মামলার সংবাদের প্রেক্ষিতে র্যাব-১৩, সিপিসি-৩, গাইবান্ধা ও র্যাব-১০, সিপিসি-৩, ফরিদপুর ছায়াতদন্ত আরম্ভ করে এবং ফরিদপুর জেলার কোতয়ালী থানাধীন আলীপুর কবরস্থানের সামনে পাকা রাস্তার উপর হইতে যৌথ অভিযান পরিচালনা করে ইং ০৮/০৭/২০২৪ তারিখ ০৬.৪৫ ঘটিকার সময় অত্র মামলার এজাহারনামী পলাতক ৩নং আসামী মোঃ শহিদ শেখ (২২), পিতা-মোঃ শরিফুল শেখ, সাং-শালমারা, পোঃ জালালাবাদ, ইউ.পি: শালমারা, থানা-গোবিন্দগঞ্জ, জেলা-গাইবান্ধা’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
বর্ণিত গণ-ধর্ষণ মামলার এজাহারনামীয় পলাতক আসামী বলে সে স্বীকার করেছে। পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রম গ্রহনের জন্য ধৃত আসামীকে গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।