টাঙ্গাইলের গোপালপুরে উপজেলা পরিষদ হল রুমে “বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে অংশীজনদের ভূমিকা ও করণীয়”শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
দি হাঙ্গার প্রজেক্টের আয়োজনে এরিয়া কো অর্ডিনেটর আতিকুর রহমান সুমনের সঞ্চালনায় সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)-এর উপজেলা সভাপতি অধ্যাপক বাণীতোষ চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো: তুহিন হোসেন।
অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন গোপালপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক মো: হাবিবুল্লাহ্,উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মাহমুদা খাতুন,ঝাওয়াইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান,হাদিরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিলকিস সুলতানা,হেমনগর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো: শামসুল আলম, গোপালপুর শাহী জামে মসজিদের ইমাম মো: নুরুল ইসলাম,ইমাম আবুল হোসেন,পিস এম্বাসিডর মো: শাহজাহান আলী, কাজী সমিতির উপজেলা সভাপতি কাজী শামসুল হক,পিএফজির উপজেলা সমন্বয়কারী মাহবুব রেজা সরকার আতিক, ইউনিয়ন কো অর্ডিনেটর বিপ্লব তালুকদার,পিস এম্বাসিডর কে.এম শামীম,ব্রাহ্মণ সংসদের উপজেলা সভাপতি ও সংগঠক বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী, হেমনগরের পুরোহিত খোকন চক্রবর্তী, পুরোহিত বিজন ভাদুরী, কাজী নাজমুল ইসলাম প্রমূখ।
কর্ম পরিকল্পনা প্রণয়ন ও স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন দি হাঙ্গার প্রজেক্টের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী জয়ন্ত কর।
উক্ত মতবিনিময় সভায় বাল্যবিয়ে কি? বাল্যবিয়ে নিরোধ আইন কী? বাল্যবিয়ে কেন অপরাধ?আইন অনুযায়ী বাল্যবিয়ের সাথে জড়িত মা,বাবা ও অন্যান্যদের শাস্তি কী?আইন অনুযায়ী বাল্যবিয়ে সম্পাদন বা পরিচালনার শাস্তি কী?বাল্যবিয়ে বন্ধে কারা আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারেন? বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ কমিটির কাজ ও বাল্যবিয়ে বন্ধে করণীয় বিভিন্ন বিষয়ে তথ্যসমৃদ্ধ বক্তব্য উপস্থাপন করা হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আগত মসজিদের ইমাম,মন্দিরের পুরোহিত,বিভিন্ন সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বাল্যবিয়ের ক্ষতিকর দিকগুলো তুলে ধরে নিজ নিজ অবস্থান থেকে তাদের করণীয় বিষয়গুলো সুনির্দিষ্টভাবে তুলে ধরে মতামত ব্যক্ত করেন।