গাজনার বিলের ক্যানাল ইজারা নিয়ে,পুরো বিল দখল, লক্ষ লক্ষ টাকা চাঁদাবাজী,অসহায় জেলে পরিবার।
ভরা মৌসুমে পাবনার সুজানগর উপজেলার দেশের ঐতিহ্যবাহী গাজনার বিলে ইজারার নামে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী মহল অসহায় ও হত দরিদ্র জেলেদের নানান ভয় ভীতি দেখিয়ে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। শতাধিক জেলে পরিবার মানবেতর জীবনযাপন করছে।
জেলেরা বলেন, বিলের কিছু ক্যানাল ইজারা নেয় মানিকহাট ইউনিয়নের বোনকোলা গ্রামের রতন মাস্টারসহ ১টি প্রভাবশালী মহল। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর পুরো বিল দখলে নিয়েছেন বলে জানান ভুক্তভোগী জেলে পরিবার ও স্থানীয়রা ।
স্থানীয়রা জানান রতন মাস্টার সম্প্রতি কয়েকটি গ্রামে সন্ত্রাসী বাহিনীর সাহায্যে জেলেদের বিল থেকে প্রতিদিন নৌকা প্রতী দিন ২/৩ হাজার টাকা চাঁদা নিচ্ছেন । এতে স্থানীয় জেলা পরিবারের গুনতে হচ্ছে ঋণের বুঝা। শতাধিক জেলে বেকার হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে।
নাম না বলার শর্তে কয়েকজন ভুক্তভোগী জেলে বলেন, ‘আমরা প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে এই বিলে মাছ ধরেই জীবিকা নির্বাহ করি।
শেখ হাসিনার পতনের পর রতন মাস্টার গাজনার বিলের দুই পাশে কয়েকটি গ্রামে একটি সন্ত্রাস বাহিনী তৈরি করেছে, তাদের ভয়ে চাঁদা না দিয়ে বিলে নামতে পারছি না। আমাদের সংসার চালানোই এখন দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে।’
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত রতন মাস্টার, তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ মিথ্যা, আমার নামে বিলের ইজারা নেই। আমার প্রতিবেশী চাচাতো ভাইয়েরা হয়তো সমিতির নামে ইজারা নিয়েছে। আমি একটু দেখাশোনা করি তাই আমার বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ করা হচ্ছে।’
এ বিষয়ে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা নুর কাজমীর জামান খান মুঠো ফোনে জানান রতন মাস্টার সমিতির নামে শুধু বিলের ক্যানাল ইজারা নিয়েছেন। বাকি অংশে জেলেরা মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে কেউ চাঁদাবাজি করছে সেটা আমার জানা নেই।
এ বিষয়ে সুজানগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর রাশিদুজ্জামান রাশেদ বলেন অসহায় হতদরিদ্র জেলে পরিবারের কাছ থেকে কেও যদি ১টি টাকাও চাঁদাবাজি করে থাকে, লিখিত অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।