ঢাকাশনিবার , ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  1. অন্যান্য
  2. অভিযোগ
  3. অর্থনীতি
  4. আইন বিচার
  5. আওয়ামী লীগ
  6. আগুন
  7. আটক
  8. আন্তর্জাতিক
  9. আবহাওয়া
  10. আমাদের পরিবার
  11. আরো
  12. ইতিহাস ও ঐতিহাসিক
  13. ইসলাম
  14. ইসলামী জীবন
  15. এশিয়া
আজকের সর্বশেষ সবখবর

দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জেনারেটরের ব্যবস্থা না থাকায় লোডশেডিংয়ে রোগীদের দুর্ভোগ

50
admin
সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৪ ৮:১৮ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

মোঃ মোস্তাইন বিল্লাহ দেওয়ানগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে ভ্যাপসা গরম ও ঘনঘন লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ এলাকার জনগণ। দিনের বেশিরভাগ সময় থাকছে না বিদ্যুৎ। এর বেশি প্রভাব পড়ছে হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ জরুরি সেবা ক্ষেত্রে। বিশেষ করে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হওয়া রোগী ও স্বজনদের।

৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রোগীদের জন্য মহিলা ও পুরুষ দুইটি ওয়ার্ড রয়েছে। একটিতেও নেই জেনারেটর বা আইপিএস ব্যবস্থা। বিদ্যুৎ চলে গেলে প্রচণ্ড গরমে অতিষ্ঠ হয়ে ছটফট করতে থাকে রোগীরা। এতে চরম বিপাকে পড়েন সেবা নিতে আসা হাসপাতালে ভর্তিকৃত রোগী ও স্বজনরা। প্রতিনিয়ত এমন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে রোগীদের।

উপজেলার লংকারচর গ্রামের এরশাদ আলী (৩৫) জানায়, ‘আমার ৩ বছরের শিশু সন্তান ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হলে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করাই। মহিলা ওয়ার্ডে থেকে চিকিৎসা চলছিল। ভর্তি করানোর দিনগত রাতে মাত্র ২ থেকে ৩ ঘন্টা বিদ্যুৎ ছিল। বাকি সময়ই চলে লোডশেডিং।

আর রোগীদের ওয়ার্ডে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সময় শুধু একটা মিটমিট করে বাল্ব জ্বলে তাও আবার কিছুসময় পর একবারে নিভে যায়। তখন ঘোর অন্ধকারে নিমজ্জিত থাকে পুরো ওয়ার্ড। তখন একমাত্র সম্বল হয় কাছে থাকা নিজের মোবাইল ফোনটা। ৩০ মিনিট পরপর অসুস্থ শিশুকে টয়লেটে নিয়ে যেতে হয়। এতে শিশুর মা ও আমাকে পড়তে হয়েছে চরম বিড়ম্বনায়। সুস্থ হওয়া পর্যন্ত হাসপাতালে থাকার কথা থাকলেও লোডশেডিংয়ের অতিষ্ঠে ছুটি নিয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছি।

দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, দ্বিতীয় তলায় মহিলা ও পুরুষ ওয়ার্ডের রোগীরা গরমে ছটফট করছে। দীর্ঘ লোডশেডিংয়ে আরো বেশি অসুস্থতাবোধ করছেন রোগীরা। হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা বেশ কিছু জটিল রোগে আক্রান্ত রোগীরা ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে।

এদের মধ্যে নারী, পুরুষ, শিশু, বৃদ্ধ, গর্ভবতী মা, মাতৃত্বকালীন মা, সকল ধরনের রোগী রয়েছেন। তবে সরকারি হাসপাতালে বিদ্যুতের বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় ক্ষুদ্ধ রোগীরা। দ্রুত সময়ের মধ্যে হাসপাতালে জেনারেটোর বা আইপিএস ব্যবস্থা চালু হওয়ার প্রত্যাশা করেন রোগী ও তাদের স্বজনরা।

দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আহসান হাবীব বলেন, ‘আমাদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় আইপিএস আছে, তবে একটা আইপিএস দিয়ে পুরো হাসপাতাল কাভার করা সম্ভব হচ্ছে না।

তাই ডাক্তারের কক্ষসহ জরুরি জায়গাগুলোতে আইপিএস সংযোগ দিয়ে রোগীর ওয়ার্ড দু’টোতে শুধু লাইটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ইতোপূর্বে উপজেলা প্রশাসনকে এ ব্যাপারে অবহিত করা হয়েছে। আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকেও জানিয়েছি। রোগীদের দুর্ভোগের বিষয়টা মাথায় রেখে তাড়াতাড়ি জেনারেটর ব্যবস্থা হয়ে যাবে বলে আশা করি।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, দেওয়ানগঞ্জে দিনরাত ২৪ ঘন্টায় মাত্র ৬ থেকে ৮ ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকে। বাকিসময় দেখা মেলে না বিদ্যুতের। পল্লী বিদ্যুতের দেওয়ানগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ের ডিজিএম ইয়াহিয়া সিদ্দিকী মারফত জানা যায়, দেওয়ানগঞ্জ পৌরসভাসহ উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে মোট ১৫৭১ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইনে বর্তমানে ৪৭ হাজার ৫৯৯ জন গ্রাহক রয়েছেন।

এসব গ্রাহকের অনুকূলে দৈনিক বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে ১২ মেগাওয়াট। সেখানে পাওয়া যাচ্ছে ৫ মেগাওয়াট। কোনো একটি লাইনে সমস্যা হলে বিদ্যুৎ সঞ্চালন বন্ধ থাকে। চাহিদার তুলনায় অর্ধেক বিদ্যুৎ আমরা পেয়ে থাকি। যতটুকু পাই তা প্রত্যেক এলাকায় সমভাবে বণ্টন করা হয়।

এই সাইটে নিজম্ব খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকে। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো। বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।