মোঃ শফিয়ার রহমান পাইকগাছা প্রতিনিধি
জখম হয়েছে। তার মধ্যে একজনের অবস্থা আশংকাজনক। অভিযোগে প্রকাশ, উপজেলার খড়িয়া গ্রামের রাশেদুল ইসলাম (৪০) ও আনিছুর রহমান (৩৮) পাটনারে ২৫ বিঘার একটি চিংড়ী ঘের করছে। রোববার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে ১৭’শ টাকার লেনদেন নিয়ে তারা খড়িয়া জনৈক বাদশার চায়ের দোকানে বিরোধে জড়িয়ে পড়ে।
এ সময় দোকানে থাকা স্থানীয় শামীম সানা ও রিয়াজ মাহমুদ রিপন তাদেরকে ঠেকানোর চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে তাদেরকে দোকানের বাইরে চলে যেতে বলেন। এ অপরাধে পুর্ব শত্রুতার জেরে গাউসুল হক সানা, রাশেদুল ইসলামরা অতর্কিত ভাবে শামীম ও রিপনের উপর লাঠি শোটা নিয়ে হামলা করে।
যাতে তারা গুরুতর আহত হয়। তাৎক্ষনিক তাদের পাইকগাছা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদিকে আহতদের জন্য দোকান থেকে ওষুধ নিয়ে হাসপাতালে ঢুকার সময় রাত সাড়ে ১০টার দিকে আহতদের ভাই হান্নান সানা (৪৬) কে মাথায় প্রতিপক্ষরা হাতুড়ি পিটা ও মারপিট করে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। যা হাসপাতালের সিসি ক্যামেরায়ও দেখা যায়। এসময় তারা হাসপাতালের আশেপাশে পেতে ছিলো বলে উপস্থিত লোকেরা জানান। তার অবস্থা আশাংকাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য বুধবার খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রতিক্ষরা গা ঢাকা দেয়ায় তাদের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে মামলার বাদী এস এম রাসেল আহমেদ বলেন,পূর্ব শত্রুতার জেরে সামান্য বিষয় নিয়ে গাউসুল হক সানা সহ আরও অনেকে আমাদেরকে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মারপিট করে রক্তাক্ত জখম করে।পরে স্থানীয় লোকজন আমাদের চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।সেখানেও আমাদের উপর হামলা করে মামলায় হান্নান সানা মারাত্মক ভাবে আহত হয়। তার উন্নত চিকিৎসার জন্য জেলা সদরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। পরবর্তীতে থানায় হাজির হয়ে গাউসুল সানা সহ ৯জনের বিরুদ্ধে ১৬/৯/২৪ সোমবার দুপুরে পাইকগাছা থানায় এজাহার দাখিল করা হয়েছে। পাইকগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ওবাইদুর রহমান জানান,থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এসএম রাসেল আহম্মেদ বাদী হয়ে গাউসুল হক সানাসহ ৯ জনের নামে থানায় একটি এজাহার দিয়েছেন।