এম,সাইদুর রহমান-ক্রাইম রিপোর্টার:
পটুয়াখালীর বাউফলে আঃ মালেক সিকদার নামে এক অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্যের শেষ সম্বল পেনশনের টাকা দিয়ে শশুর বাড়ির সংলগ্ন স্ত্রীর রোষানলে পড়ে ৩৭ শতাংশ জমি ক্রয় করেন।একপর্যায়ে সে-ই জমি পুনরায় তাঁর স্ত্রী মোসাঃ ফেরদৌসী বেগম কর্তৃক নির্যাতনের শিকার হয়ে স্বামী মালেক সিকদারকে হেনস্তা করে জোরপূর্বক শশুর বাড়ির লোকজন মিলে জমির দলিল রেজিস্ট্রার করে নেয়।
অভিযোগ রয়েছে, ভুক্তভোগী মালেক সিকদার তাঁর ক্রয়কৃত জমি বিক্রি করতে মোটেও ইচ্ছে ছিলো না।স্ত্রী ফেরদৌসী বেগম এবং তার চাচী মোসাঃ খালেদা বেগম ও ছোট বোন জামাই মাহিবুল হাসান মনির জমাদ্দারকে দিয়ে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে জোরপূর্বক জমি দলিল করার জন্য বাউফল রেজিস্ট্রার অফিসে নিয়ে যায়। জমির মূল্য ২০’লাখ টাকা হলেও জমি রেজিস্ট্রেশন হওয়ার পরে ভুক্তভোগী মালেক সিকদারকে তাঁর স্ত্রী ও শশুর,শাশুড়ি তাকে ১২’লাখ টাকা দিয়ে হুমকি-ধমকি দিয়ে সেখান থেকে পাঠিয়ে দেয়।
এমন ঘটনা ঘটে উপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়নের বীরপাশা গ্রামের আব্দুস সত্তার মোল্লা বাড়িতে। আব্দুস সত্তার মোল্লা (মাস্টার) ভুক্তভোগী মালেক সিকদারের আপন শশুর। অপরদিকে, মালেক সিকদার এর বাড়ি উপজেলার কালিশুরী ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের মোঃ আমজাদ আলী সিকদার এর ছেলে। আজ বৃহস্পতিবার (২৬শে সেপ্টেম্বর) বেলা আনুমানিক এগারোটা দিকে সরজমিনে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়। ভুক্তভোগী মালেক সিকদার সাংবাদিকদের জানান, একজন পুরুষের সুখ-দুঃখের সঙ্গী সাথী হচ্ছে একজন স্ত্রী। আর সে-ই স্ত্রীর দ্বারা যদি পুরুষ বিভিন্ন ভাবে হেনস্তা ও নির্যতনের শিকার হয় তাহলে সেই পুরুষের সুখ-দুঃখ বলতে আর কিছু থাকেনা।
তিনি বলেন, কয়েক বছর আগে আমার স্ত্রীর রোষানলে পড়ে আমাকে দিয়ে জোরপূর্বক তাঁদের বাড়ির সামনে ৩৭ শতক জমি ক্রয় করি আমার পেনশনের কষ্টের আর্জিত টাকায়। কনকদিয়া ইউপির বীরপাশা মৌজার জে.এল নং-০৯, এস.এ খতিয়ান -১৭০ জমির পরিমাণ ৩৭ (সাইত্রিশ) শতাংশ এবং অনলাইন নতুন খতিয়ান নং-১১৩৪, দাগ নং- ৬০৩/ ৬৩২/ ৬৩৩/৬৩৪/৬৩৫/৬৩৬/৬৪২/৬৪৩/৬৪৪/৬৪৫/৬৪৬/৬৪৯ এবং ৬৫৯।ভোগ দখলীয় দাগ নং-৬৪৯।
বর্তমানে অত্র জমির মূল্য রয়েছে ২০’লাখ টাকা কিন্তু আমাকে ১২’লাখ টাকা দিয়ে ৩৭ শতক জমি রেজিস্ট্রেশন হওয়ার পরে আমাকে আমার স্ত্রী ফেরদৌসী বেগম, শশুর সত্তার মোল্লা মাস্টার, শাশুড়ী ও আমার ছোট ভায়রা মাহিবুল হাসান মনির জমাদ্দারকে দিয়ে হেনস্তা করে বাউফল থেকে পাঠিয়ে দেয়।আমি নিরুপায় হয়ে আপনাদের মিডিয়ার মাধ্যমে সঠিক বিচার দাবি জানাচ্ছি এবং আমার জমির ন্যায্য মূল্য পেতে পারি সে-ই মর্মে আইনের সহায়তা চেয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করবো। ভুক্তভোগী মালেক সিকদার আরো বলেন, আমার তিনটি মেয়ে আছে। ওঁদের মুখের দিকে তাকিয়ে আমি কষ্টে হলে জীবন থেকে সুখ হারিয়ে ফেলেছি।
নয়তো এমন স্ত্রী নিয়ে দিনের পর দিন কোনো পুরুষ নির্যতনের শিকার হতো না। এ ব্যাপারে বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন বলেন,ভুক্তভোগী অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্যের পক্ষ থেকে লিখিত কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।