ভাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি:
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় এক দিনমজুর পরিবারকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার আজিমনগর ইউনিয়নের থানমাত্তা গ্রামের মৃত এজাহার খালাসীর ছেলে ইউসুফ খালাসী (৬০) ও তার ভাই তেয়াব আলী খালাসী, (৬২), নুরালী খালাসীসহ (৫৮) পরিবারের আরও ১৩ জনের নামে ফরিদপুর কোর্টে আইন শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) আদালতে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এছাড়া তাদেরকে বিভিন্নভাবে হুমকি ধমকি দেওয়া হচ্ছে বলে জানান ওই ভুক্তভোগী পরিবার। এ মামলার ১নং আসামী ইউসুফ খালাসী বলেন, আমি ও তার ভাইয়েরা অনেক কষ্ট করে সাধারণভাবে জীবন যাপন করি। আমি জীবিকার তাগিদে ঢাকায় গিয়ে ফেরি করেছি। গ্রামে এসেও মাটি কাটার কাজ ও কৃষি কাজ করে করেছি।
এই এলাকায় আমারা কোনোদিন কারো ক্ষতি করি নি।আমাদের নামে এই গ্রামে কারো কমপ্লেইন নাই। মামলার বাদী লুৎফর তালুকদার (৩৭) আমাদেরকে হয়রানি করার জন্য ফরিদপুর কোর্টে দ্রুত বিচার আইনে একটা মামলা দায়ের করেছে যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমরা এ মিথ্যা মামলা থেকে থেকে মুক্তি পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এ মামলার ২নং আসামী তৈয়ব আলী খালাসী বলেন,ওবায়দুর রহমানের ঔষধের দোকানে কোনো ভাংচুর হয় নাই। দোকান থেকে কেউ ঔষধ-পাতিও নেয় নাই। এটা একটা মিথ্যা মামলা। আমরা এই মিথ্যা মামলা থেকে বাঁচতে চাই। মামলার ৪নং আসামী জাহাঙ্গীর খালাসীর স্ত্রী ইয়াসমিন বেগম বলেন, আমাদেরকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। আমরা সরকার ও প্রশাসনের কাছে এর বিচার চাই।
মামলা সূত্রে জানা যায়, আসামী ইউসুফ খালাসী গং থানমাত্তা গ্রামের বটতলায় অবস্থিত পল্লী চিকিৎসক ওবায়দুর রহমানের ঔষধের দোকানে হামলা ও ভাংচুর করে দুই লক্ষ টাকার ক্ষতি করে। কিন্তু এ হামলা ও ভাংচুরের বিষয়ে পল্লী চিকিৎসক ওবায়দুর রহমান বলেন, আমার দোকানে কোনো হামলা বা ভাংচুর হয় নি। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।
এ বিষয়ে জানতে মামলার বাদী লুৎফর তালুকদারের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি মামলার বিষয়ে বক্তব্য দিতে রাজি হন নি। উল্লেখ্য, গত ২ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় উপজেলার আজিমনগর ইউনিয়নের থানমাত্তা গ্রামের একটি বট গাছের ডালপালা কাটাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।