ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি :
ফরিদপুরের নগরকান্দায় ইসলামিক ফাউণ্ডেশনের উপজেলা মডেল কেয়ারটেকার আব্দুল কুদ্দুস এর বিরুদ্ধে ঘুষ বানিজ্য সহ নানাবিধ অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
কেন্দ্র দেয়ার নামে শিক্ষকদের নিকট থেকে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা নেওয়া, কেন্দ্র স্থানান্তর করার নামে টাকা নেয়া,কেন্দ্র পরিদর্শন করতে গিয়ে মোটরসাইকেল এর তেল বাবদ প্রতি কেন্দ্র থেকে ৩ শত চাকা করে নেয়া,কেন্দ্রে অনিয়ম অনিয়মিত হলে শিক্ষকদের নিকট থেকে টাকা নেওয়া, ইসলামিক ফাউণ্ডেশন এর প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন, ১৬ ডিসেম্বর মিলাদ মাহফিল করার নামে শিক্ষকদের নিকট থেকে টাকা নেয়া,কেন্দ্র গুলোতে বই সংগ্রহ বাবদ টাকা নেয়া,কেন্দ্রের শিক্ষকদের বেতন বন্ধ – চালু করে দেওয়ার নামে টাকা নেওয়ার কারনে ভুক্তভোগী শিক্ষকরা ইসলামিক ফাউণ্ডেশন এর কর্মকর্তাদের নিকট লিখিত অভিযোগ করেন।
মডেল কেয়ারটেকার আব্দুল কুদ্দুস জাল সনদ ও বয়স কম দেখিয়ে চাকরিতে যোগদান করায় অনিয়মের বিষয়ে ভুক্তভোগীদের অভিযোগে তদন্ত করেন ইউএনওর নির্দেশে উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা। তদন্তে সত্যতা পান এবং আব্দুল কুদ্দুস এর বিরুদ্ধে প্রতিবেদন করেন।
মডেল কেয়ারটেকার আব্দুল কুদ্দুস এর অনিয়ম ঘুষ বানিজ্যের বিষয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ হয়। নিজের নামে কেন্দ্র ও তার স্ত্রীর নামে কেন্দ্র রয়েছে। স্ত্রী জাল সনদে কেন্দ্র নিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন শিক্ষকরা।কেন্দ্র নামে আছে শিক্ষার বালাই নাই।মাস শেষে টাকা উত্তলন করেন।আব্দুল কুদ্দুস এর নামে অভিযোগের পাহাড় থাকা সত্বেও কৌশল করে নিজেকে আড়াল করেন।
অনিয়মের সত্যতা প্রমানিত হওয়ার পরেও ঘুষ বানিজ্য থামছেনা। ইসলামিক ফাউণ্ডেশন কেন্দ্র গুলো শিক্ষার নামে চলছে সরকারি টাকা লোপাটের মহাউৎসব।নামে কেন্দ্র শিক্ষার বালাই নাই তবুও মাস শেষে টাকা পকেটে শিক্ষকদের অনেকে।ইউনিয়ন কেয়ারটেকারদের নামে ও তাদের স্ত্রীদের নামে কেন্দ্র নিয়ে নিজেরা ফায়দা লুটছে।
মাদ্রাসায় সকালের মকতব পাড়িয়ে একের ভিতর দুই শিক্ষার কাজ সারছেন শিক্ষকরা।মাদ্রাসা ও মসজিদ কমিটি অনেকেই জানেননা যে ইসলামিক ফাউণ্ডেশন এর কেন্দ্র কি তারা জানে মকতব পড়িয়ে শেষ। মকতব পড়ানোর জন্য মসজিদ কমিটি এলাকাবাসী বেতন দেন। মডেল কেয়ারটেকার আব্দুল কুদ্দুস বলেন আপনারা সাংবাদিক আমিও আপনাদের ছাড়ানা আপনারা যাচাই করে আমার নামে লিখলে আমি সাংবাদিকদের নামে মামলা করব।
ভুক্তভোগী শিক্ষকরা বলেন মডেল কেয়ারটেকার আব্দুল কুদ্দুস এর খুটি জোর কোথায় যে অনিয়মের পাহাড় প্রমানিত হওয়ার পরেও চাকরিতে বহাল থাকে।জাল সনদে চাকরি আর ঘুষ বানিজ্য করার পরেও থামছেনা তার অপকর্ম।