বুলবুল ইসলাম খানসামা – প্রতিনিধি:
মাদক ব্যবসায় বাঁধা প্রদান করায় দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার সুবর্ণখুলী গ্রামে সাবেক ইউপি সদস্য আজিজার রহমানসহ তার লোকজনের বিরুদ্ধে বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে।
গত রোববার (২০শে অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার আঙ্গারপাড়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের সুবর্ণখুলী সাবুদের হাট গ্রামে হামলার ঘটনাটি ঘটে। ভুক্তভোগী শাহজাহান জানান, তিনি একজন কৃষক। নিজের ও অন্য মানুষের জমি-জায়গা চাষাবাদ করেন তিনি। বেশ কিছুদিন যাবৎ এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী আজিজার রহমান ভুক্তভোগীর জমি ও বাড়ির আশেপাশে বিভিন্ন ধরনের মাদক বিক্রি ও সেবন করে মাদকাসক্তরা। এতে তিনি সহ এলাকার কয়েকজন মিলে বাঁধা দেওয়ায় আজিজার রহমান ও তার লোকজন কয়েকবার হুমকি ধমকি দেয়।
এরই জের ধরে রাতে আজিজার রহমানের জামাই সিরাজুল ও তার ছেলে সহ ভাড়াটিয়া ১৫০-২০০ জন সন্ত্রাসী মিলে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে শাহজাহান ও তার ভাইয়ের বাড়িতে হামলা চালায়। এসময় তারা ব্যাপক ভাঙচুর করে। পরে হামলাকারীরা ঘরে থাকা নগদ ২ লাখ টাকাসহ সব আসবাবপত্র ও গরু ছাগল নিয়ে যায়।
এসময় এলাকাসীরা বাঁধা দিতে গেলে হুমকি-ধমকি দিয়ে চলে যায় হামলাকারীরা। পরে জরুরী সেবার ৯৯৯-এ ফোন দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তদন্ত করে। শাহজাহান আলীর স্ত্রী বলেন, আমার স্বামী মাদক ব্যবসা বন্ধ করতে চেয়েছিলেন যাতে যুবসমাজ ধ্বংস না হয়। সমাজের জন্য ভালো কিছু করতে গিয়ে আমরা আজ নিঃস্ব। সরকারের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার নিকট আমার আকুল আবেদন, আমরা এই মাদক ব্যবসায়ী ও অন্যান্যভাবে আমাদের উপর হামলাকারীদের বিচার চাই। অভিযোগের বিষয়ে সাবেক ইউপি সদস্য আজিজার রহমানের কাছে জানতে চাইলে।
তিনি বলেন, জমি জমার শত্রুতার জের ধরে দীর্ঘদিন যাবৎ মনোমানিল্য চলে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় পরিকল্পিতভাবে হাতে লাঠিসোটা ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে আমাদের বাড়ীর ঘরে ও বাহির আঙ্গিনায় অনাধিকার প্রবেশ করে অহেতুক অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। আমরা তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। খানসামা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাজমুল হক বলেন, আমরা এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব। ছবির ক্যাপশন: পরিবারের স্থাপনাসহ আসবাপত্র ভাঙচুর।