রেজাউল করিম, স্টাফ রিপোর্টারঃ
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বংখুরী এলাকায় রাতের আধারে তৈরি হচ্ছে ঘর। দখল করা হচ্ছে বনবিভাগের জমি। কাটা হচ্ছে বনের গাছপালা। পাহাড় কাটা, পাহাড় কেটে অবৈধ বাড়িঘর নির্মাণ, পরিবেশ সংরক্ষণ বিধি ১৯৯৫-এর ১৫ ধারার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন এবং এর জন্য রয়েছে শাস্তির বিধান। তবে পাহাড় খেকোদের বিরুদ্ধে নেওয়া হয়নি কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা। তাই পাহাড় কাটা, বসতি স্থাপনও থেমে নেই।
বাজাইল বিটের আওতাধীন বংখুরী পর্ব ও দক্ষিণ এলাকায় মোটঃ ১৮টি ঘর নির্মাণ হয়েছে বলে জানা যায়। তবে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় যে, এটি বংখুরী এলাকার কিছু সিন্ডিকেট ব্যক্তির কাছ থেকে পারমিশন নিয়ে ঘর তৈরি করছে। এই সিন্ডিকেটটি রাতের আঁধারে বনের গজারি গাছ কেটে বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করে বলে জানা যায়।
বিট অফিসার মোঃ ছিদ্দিকুর রহমানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন যে, বুংখুরী এলাকার ৮ জনের নামে মামলা হয়েছে, মামলা নাম্বার
২/ বাজা ২১/হ অব ২০২৪-২০২৫/
৩/ বাজা ২২/হ অব ২০২৪-২০২৫
বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায় এদের নামে মামলা হয়েছে সকলের সাং বংখুরী :
হান্নান সিকদার, পিতা: মূত মোহাম্মদ আলী,
জলিল সিকদার, পিতা: মূত নায়েব আলী
শিপন মিয়া, পিতা: হাসিম সিকদার
সাইফুল সিকদার, পিতা: রমজান আলি সিকদার
মুকসেদ মিয়া, পিতা: মূত জংশের মিয়া
রহিম মিয়া, পিতা: বাদশা মিয়া
সর্ব সাং: বংখুরী
এলাকাবাসীর সাথে এই বিষয়ে জানতে চাইলে সাংবাদিকদের সঙ্গে তারা খারাপ আচরন করে, এর মধ্যেই রহিম মিয়া নামের একজন ব্যক্তি বলেন আমরা বাংলাদেশের নাগরিক এদেশে এখন কোন সরকার নেই। এই সুযোগে বনভূমির জমির মালিক আমরা হবো । আমাদের বাধা দেওয়ার কেউ নেই।
তবে বিভিন্ন গোপন সুত্রে জানা যায় যে, এলাকার কিছু অসাধু দালাল, পেশি শক্তি ব্যাবহার করে, তারা ঘর নির্মাণ করে এবং বনের গজারি গাছ কেটে রাতের আঁধারে বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করে থাকে বলে জানা গেছে।