পটুয়াখালী জেলার গলাচিপায় বাশবাড়িয়া মাঃ বিঃ ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা ও সহকারি শিক্ষকদের বিরুদ্ধে নানান অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ।
বাঁশবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ই আই আই এন: ১০২২৩৮ ভারপ্রাপ্ত প্র:/শি: তাছলিমা বেগম এবং সহকারী শিক্ষক পলাশ ও ধর্মীয় শিক্ষক মোহাম্মদ ইয়াকুব হোসাইনকে চাকুরী থেকে অব্যাহতি ও বিচারের দাবিতে প্রায় ২০০(দুই শত) স্বাক্ষর সম্মিলিত এলাকাবাসীর পক্ষে মোঃ মস্তফা মিরধা পটুয়াখালী জেলা প্রশাসন বরাবর গত ২৮/১০/২০২৪ খ্রি: লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।
এই বিষয় নিয়ে ৮ সেপ্টেম্বর স্কুল মাঠে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয় মানব বন্ধনে বক্তারা ও লিখিত অভিযোগে বলেন, বিগত ২৪/০৯/১৯৯৯ খ্রি: দৈনিক জনকন্ঠ পত্রিকায় বাশবাড়ীয়া মা:/বি: শূন্য পদে সহকারি প্রধান শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয় সেই নিয়োগ বোর্ড অকার্যকর হওয়া সত্ত্বেও পরিপত্র পরিপন্থী ভাবে তাছলিমা বেগমকে সহকারী প্র:/শি: নিয়োগ দিয়েছেন। অবৈদ সহকারী প্রধান শিক্ষক তাছলিমা বেগম বিভিন্ন কলাকৌশলে গত ২০১৯ খ্রি: ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
তাছলিমা বেগম নিজের চাকরীর পদোন্নতির জন্য গত ১৮/০২/২০২৪ খ্রি: জেষ্টতম সহকারী শিক্ষক জয়নাল আবেদীনকে ভারপ্রাপ্ত দেখিয়ে, তার স্বাক্ষর জাল করেন,যাহার বিরুদ্ধে শিক্ষক জয়নাল আবেদীন সহ আরো ০৮(আট)জন শিক্ষক জেলা প্রশাসন পটুয়াখালী বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।ভারপ্রাপ্ত প্র:/শি: হিসেবে বৈধভাবে ০৬ (ছয়)মাস থাকতে পারবে, শিক্ষামন্ত্রনালয় এর আইনে উল্লেখ থাকলেও, তাছলিমা বেগম শিক্ষক পলাশ ও ইয়াকুবের দূর্নীতির সহায়তায় ও স্বেচ্ছাচারিতায় প্রায় ৪(চার) বছর উক্ত পদে অবৈধভাবে বহাল থেকে বিদ্যালয়ের সরকারি অনুদান প্রাপ্ত ২,৫০,০০০(দুই লাখ পঞ্চাশ হাজার) টাকা, মাঠের দক্ষিণ পাশে টিনসেট নতুন ঘর , বিদ্যালয়ে স্থাপিত মোবাইল টাওয়ার ভারা,টিউশন ফি, গরিব ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে বিভিন্ন ফি, সেশন ফি,গ্রহন এস এস সি বোর্ড সার্টিফিকেট প্রদানে রিসিভ বিহীন (১০০০–১২০০)টাকা গ্রহন,বিদ্যালয়ের সকল আয় ও আদায়কৃত অর্থ, করোনা কালিন স্কুল বন্ধ থাকলেও (৬ষ্ট-১০ম) শ্রেণীর কাছ থেকে বহু অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়। যাহা টিভি সহ বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচারিত হয় এবং করোনা কালিন ২০২১ ইং সালের এস এস সি বোর্ড পরীক্ষার অব্যয়িত অর্থ ও কেন্দ্র ফি ছাত্র ছাত্রীদের হাতে ফিরিয়ে না দিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করে ছাত্র ছাত্রীদের প্রতারিত করে।
বিভিন্ন ভাউচার দেখিয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তাছলিমা শিক্ষক পলাশ ও ইয়াকুব হোসাইন সমহারে ভাগবাটোয়ারা করে নেয়।ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অনিয়মতান্রিক ভাবে করোনায় স্কুল অনির্দিষ্টকালিন বন্ধ থাকায় ম্যানেজিং কমিটির প্রস্তাবিত বিধি মালা ২০০৯ খ্রি: অনুযায়ী গঠন না করে রাতের আধারে প্রকাশ্যে কোনো ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া না করে অবৈধ ভাবে ঢাকায় বসবাসরত ব্যাক্তিকে সভাপতি করে।
পকেট কমিটির মাধ্যমে ৩য়-৪র্থ শ্রেণীর ০৭টি শূন্য পদে কাউকে না জাণিয়ে, দাতা সদস্যদের অগ্রাধিকার থাকা সত্ত্বেও ক্যাসমেন্ট এরিয়ার বাহিরে শিক্ষক ও সভাপতির আত্নীয়দের ফ্যাসিবাদী দোসরদের প্রতাহ্ম সহায়তায় নিয়োগ বাণিজ্যের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়।
অভিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও তার সহকারি শিক্ষক পলাশ এবং ইয়াকুব। শিক্ষক পলাশ ও ইয়াকুবের বাড়ি ২০-২৫ কিলোমিটার দুর হওয়া সত্ত্বেও পলাশের আপন ভাই অফিস সহায়ক ও ভাইয়ের স্ত্রী কে আয়া এবং ইয়াকুবের ভাইয়ের ছেলেকে ৪র্থ শ্রেণীর চাকুরী ভাগিয়ে নেয়।
সহকারি শিক্ষক পলশের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে স্কুলের চেয়ার, টেবিল, বেঞ্চ তৈরির জন্য মজুদকৃত কাঠ,নতুন ফ্যান চুরি করে সূ কৌশলে গলাচিপায় তার নিজ বাসায় নিত্য ব্যবহার্য্য জিনিস পত্র তৈরি করেন।
লাইব্রেরিতে সংগ্রীত বিভিন্ন কবি-সাহিত্যিক মুক্তি যূদ্ধ মনীষীদের বই ওজনে বিক্রি করে টাকা আত্মসাৎ করেন।স্কুলের গুরুত্বপূর্ণ নথী পত্র নিজের হেফাজতে নিয়ে যায়।এ বিষয় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক
তাছলিমা বেগম ও ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারীর একটি অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে।সিনিয়র ৫/৬ জন শিক্ষকদের কাছ থেকে অর্থ আত্মসাৎ গ্রহণের বাহানায় তাদেরকে বহু মাস থেকে উচ্চতর স্কেল থেকে বঞ্চিত।অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের অবসর ভাতা থেকে বঞ্চিত।
বোর্ড কর্তৃক কমিটি করার নির্দেশ থাকলে ও তারা দীর্ঘ দিন কমিটি বিহিন সেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ অনিয়ম জালিয়াতি ও অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন।যাহার ফলে ছাত্র ছাত্রী ভর্তির হার ০.৫০% কমে গেছে এবং শিক্ষার পরিবেশ হুমকির মূখে।ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকার বাড়ীর দরজায় চাকরি করায় এলাকার মানুষের সাথে খারাপ আচরণ করে।
ছাত্র ছাত্রীদের সাথে শিক্ষকশূলভ আচরন না করায় ছাত্র ছাত্রী ও এলাকাবাসী দূর্নীতির বিরুদ্ধে তাদেরকে চাকরি থেকে অব্যাহতির দাবিতে মানব বন্ধন সমাবেশ অব্যাহত রেখেছেন।