ঠাকুরগাঁওয়ে ব্রিটিশ আমলে স্থাপিত বিমানবন্দরটি চালু ছিল স্বাধীনতার পরেও, তবে ১৯৮০ সালের দিকে এখানে বিমান ওঠানামা বন্ধ হয়ে যায়। এর ১ বছর পর বিমানবন্দরটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। বিভিন্ন ধরনের প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও ৪৪ বছরেও চালু হয়নি বিমানবন্দরটি।
ঠাকুরগাঁও জেলাবাসীর প্রশ্ন-এ বিমানবন্দর চালু নিয়ে অপেক্ষার অবসান হবে কবে? জানা যায়, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার শিবগঞ্জে ১৯৪০ সালে ৫৫০ একর জমিতে প্রতিষ্ঠা করা হয় বিমানবন্দরটি। ব্রিটিশ সরকার সরকারি ও সামরিক কাজে ব্যবহার করতে এটি প্রতিষ্ঠা করে। ১৯৬৫ সালে পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধের সময় ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় বিমানবন্দরের রানওয়ে।
১৯৭৭ সালে সংস্কার করা হয় বিমানবন্দরটি। তবে যাত্রীসংখ্যা কমে যাওয়ায় ১৯৮০ সালে বিমানবন্দরটি বন্ধ হয়ে যায়। দীর্ঘ ৪৪ বছর বন্ধ থাকায় বিমানবন্দর রূপ নিয়েছে ফসলের মাঠে। পরিত্যক্ত রানওয়ে এখন গোচারণভূমি। চরছে গরু-ছাগল। রানওয়ের বিভিন্ন স্থানের কার্পেটিং উঠে গেছে। নষ্ট হচ্ছে বিমানবন্দরের সরঞ্জাম।
স্থানীয়রা করছেন চাষাবাদ। বারবার জনপ্রতিনিধিরা আশ্বাস দিলেও দীর্ঘ ৪৪ বছরেও চালু হয়নি বিমানবন্দরটি। এদিকে চলতি বছরে পরিত্যক্ত বিমানবন্দরটির জমি সংরক্ষণের জন্য বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ করেছে সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষ। দিয়েছে একটি সাইনবোর্ডও।
ফলে ঠাকুরগাঁও জেলাবাসীর মনে পুনরায় এটি চালু নিয়ে জেগেছে আশা। ঠাকুরগাঁও জেলাবাসী বলছেন, যাত্রীসেবার পাশাপাশি ব্যবসাবাণিজ্যের প্রসার সহ এলাকার উন্নয়নের জন্য দ্রুত বিমানবন্দরটি চালু করা জরুরি। শহরের রাজিউর রহমান রাজু , তারেক , সিয়ামসহ বেশ কয়েকজন বলেন, ‘আমরা প্রতিটি সময়ে দেখেছি এমপি-মন্ত্রীরা আসেন, আশ্বাস দেন। কিন্তু এখনো চালু হয়নি।
এবারও আমরা লক্ষ্য করেছি বিমানবন্দরের বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ করেছে সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষ। ফলে আমাদের মনে একটি নতুন আশা তৈরি হয়েছে। এটা চালু হলে ব্যবসাবাণিজ্য সহ প্রতিটি ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন হবে আমাদের ঠাকুরগাঁও জেলায়। ’ ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা বলেন, ‘ ঠাকুরগাঁও জেলাবাসীর দাবি বিমানবন্দর চালুর বিষয় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হবে। ’