মুন্সীগঞ্জে গজারিয়া উপজেলা পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পুলিশ সদস্যের উপর গুলিবর্ষণ করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। গুলি করার পর তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে পানিতে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় স্বজনরা। গুলিবিদ্ধ পুলিশ সদস্য গজারিয়া উপজেলার ইমামপুর ইউনিয়নের আধার মানিক গ্রামের মো: আব্দুল হক মিয়ার ছেলে রুহুল আমিন রুবেল (৩৮)। রুবেল ছুটি কাটাতে বাড়িতে এসে এ-ই হামলার শিকার হয়।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী গুলিবিদ্ধ পুলিশ সদস্য রুহুল আমিন রুবেল এর বাবা মো: আব্দুল হক বলেন, পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রতিবেশী চুন্নুর পরিবারের সাথে তাদের বিরোধ চলছিল। এর মধ্যে গত শনিবার (২১ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১১ টার দিকে তার ছেলে বাড়ির পাশের মাচায় বসে ছিলেন।
এ সময় চুন্নু সহ তার ছোট ভাই মানিক, বাবু, আওয়ামী লীগ নেতা ইমামপুর গ্রামের তাইফুর-সহ আরো কয়েকজন অতর্কিতভাবে তার ছেলের উপর হামলা চালায়। প্রথমে তারা তাকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে তাকে আহত করে। পরবর্তীতে তাকে লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে তার মধ্যে দুটি গুলি তার গায়ে লাগে। পরে তাকে পুকুরের পানিতে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা।
পরবর্তীতে তাকে উদ্ধার করে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান তারা। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ার কারনে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয়রা জানায়, আহত রুহুল আমিন রুবেল একজন পুলিশ কনস্টেবল। তিনি কুমিল্লা জেলার চান্দিনা থানায় কর্মরত ছিলেন। মানসিক সমস্যার কারণে কয়েক মাস যাবৎ ছুটি নিয়ে বাড়িতেই অবস্থান করছিলেন। গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. সাদ করিম বলেন, শনিবার দিবাগত রাত বারোটার দিকে আমাদের হাসপাতালে এরকম একজন রোগীকে নিয়ে আসা হয়।
তার গায়ে গুলি জাতীয় দুটি আঘাত ছিলো। একটি বাম হাতের কনুইতে আরেকটি ডান কাঁধে। আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দিয়েছি। বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ আমিনুল ইসলাম বলেন, পারিবারিক বিরোধকে কেন্দ্র করে মারামারির ঘটনার একটি খবর পেয়েছিলাম। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে কেউ গুলিবিদ্ধ হয়েছে এরকম কোন খবর আমার কাছে নেই। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।