রানা ইসলাম বদরগঞ্জ রংপুর
বিয়ের সাত বছর পর ফেরদৌসী বেগমের কোল জুড়ে তিন সন্তানের জন্ম হওয়ার পরও ফেরদৌসী বেগমের মুখে হাসি নেই।মলিন মুখে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন সাংবাদিক, আত্মীয় স্বজনের মুখে। আর ভাবছেন তিন সন্তানের মুখে এখন খাবার কিভাবে দিবেন। আর সন্তানদের বড় কিভাবে করবেন।
ফেরদৌসী সাংবাদিককে বলেন,সন্তান যখন আমার গর্ভে আসে তখনও আমার স্বামী ছেড়ে চলে গেছে বাইরে কাজে।আমি বাবার বাড়িতে থাকি।আমার স্বামী কোন খোঁজ খবর নেয়না।সন্তান হওয়ার খবর শুনে তিনি ছুটে আসেননি।একটি টাকাও পাঠায়নি এ পর্যন্ত।কান্না জড়িত কন্ঠে এই নারী বলেন,সামনে আমার অন্ধকার পথ কিভাবে আলোর মুখ দেখবো। সমাজে দানবীয় ব্যাক্তি কাছে সাহায্য আবেদন করছি।
গত শুক্রবার রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অস্ত্রোপচার ছাড়াই এই নারীর তিন সন্তান ভূমিষ্ট হয়।দুটি ছেলে একটি মেয়ে।বর্তমানে তিন সন্তান রংপুর মেডিকেল হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যায় আছেন।সন্তান হওয়া ঐ নারীর বাড়ি পৌরশহরে বালুয়াভাটার মিস্ত্রি পাড়া গ্রামে।বাবা শহিদুল ইসলাম। পেশায় রিকশা চালক।যা আয় হয় তা দিয়ে কোন রকম সংসার চালিয়ে যান শহিদুল।
এ বিষয়ে রিকশা চালক শহিদুল ইসলাম বলেন,আমার মেয়েটি কে ফেলে রেখে চলে গেছে তার স্বামী। এখন এই তিনটি বাচ্চাগুলোকে কিভাবে খাওয়াবো সেই চিন্তা করছি।আমার একমাত্র ছেলে সে বিয়ে করে আলাদা সংসার করেন
সমাজে ধনী ব্যাক্তি ও সরকারি সাহায্য ছাড়া আমার পক্ষে সম্ভব নয় এই তিনটি বাচ্চার ভোরন পোষন।
অসহায় হতদরিদ্র ঘরে জন্ম নেওয়া তিনটি বাচ্চার সাহায্য পাঠাবার মুঠোফোন নম্বর বিকাশ ০১৫৮৬০২০৯৩০।
এই সাইটে নিজম্ব খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকে। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো। বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।