মোঃ খান সোহেল নেত্রকোনা প্রতিনিধি
নেত্রকোনায় ৮ ডিসেম্বর ২০০৫ সালের এই দিনে জেএমবির বোমা হামলায় নিহত শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা আর গণজাগরণের মাধ্যমে সন্ত্রাসী ও জঙ্গিবাদী কর্মকান্ড নির্মূলের দীপ্ত অঙ্গীকারের মধ্য দিয়ে শুক্রবার ট্র্যাজেডি দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে নেত্রকোনা ট্র্যাজেডি দিবস উদযাপন কমিটির উদ্যোগে সকাল ৯টা ঘটিকার সময় জেলা শহরের অজহর রোডস্থ উদীচী কার্যালয়ে কালো পতাকা উত্তোলন ও কালো ব্যাচ ধারণের মধ্য দিয়ে কর্মসূচী শুরু হয়।
সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে নিহতদের স্মরণে উদীচী কার্যালয়ের সামনে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভে পুস্পমাল্য অর্পন করেন সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বীরমুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলী খান খসরু,সংরক্ষিত আসনের এমপি হাবিবা রহমান খান শেফালী, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা অসিত কুমার সজল,পৌর মেয়র বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোঃ নজরুল ইসলাম খান,জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শামছুর রহমান (ভিপি) লিটন নেত্রকোনা সেক্টর ফোরামের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুজ্জোহা,সাবেক ক্রীড়া ও উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়।
জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ভজন সরকার,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মারুফ হাসান খান অভ্র, সাংগঠনিক সম্পাদক দেওয়ান রনি,দপ্তর সম্পাদক রোকনুজ্জামান,পৌর আ.লীগের সভাপতি অর্পিতা খানম সুমি,জেলা রেড ক্রিসেন্টের সেক্রেটারী গাজী মোজ্জামেল হোসেন টুকু। নেত্রকোনা ট্র্যাজেডি দিবস উদযাপন কমিটির সভাপতি আলী আজগর খান সেন্টু ও সদস্য সচিব অসিত কুমার ঘোষ, বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী নেত্রকোনা জেলা সংসদের সংগ্রামী সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান খান,জেলা মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তাহেজা খাতুন সহ রাজনৈতিক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের ও জেলা ট্র্যাজেডি উদযাপন কমিটি,উদীচী শিল্পগোষ্ঠীর নেতা কর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:সিরাজগঞ্জে মুরগীর বাচ্চাবাহী একটি কাভার্ডভ্যানে আগুন দিয়েছে দূর্বৃত্তরা
পরে বোমা হামলায় নিহতদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য ১০.৪০ মিনিট থেকে ১০.৪৫ মিনিট পর্যন্ত রাস্তয় যে যেখানে ছিল সেখানেই ৫ মিনিট নিরবে দাঁড়িয়ে ‘স্তব্ধ নেত্রকোণা’ কর্মসূচী পালন করে।এ সময় সড়কে চলাচলরত সকল প্রকার যানবাহন ৫ মিনিটের জন্য থমকে দাঁড়ায়।
১২টায় শহীদদের কবর জিয়ারত, শশ্মানের স্মৃতিফলকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। শহীদ পরিবারবর্গের সঙ্গে সাক্ষাৎ করা হয়। উল্লেখ্য যে ২০০৫ সালে এই দিনে নেত্রকোণার উদীচী প্রাঙ্গনে উগ্র মৌলবাদী জনগোষ্ঠীর আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহত হয়েছিলেন খাজা হায়দার হোসেন, সুদিপ্তা পাল শেলী, যাদব দাস, রানী আক্তার, জয়নাল,আফতাব উদ্দিন, রইছ মিয়াসহ আটজন ও আহত হয়েছিলেন শতাধিক সাংস্কৃতি সংগঠনের নেতা কর্মীসহ পথচারীগণ।