মিজানুর রহমান ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি :
স্টিল এর বদলে লোহার ব্যবহার,লোহা কাঠ, সেগুন কাঠ এর বদলে রেন্ডী কড়াই কাঠ ব্যবহার,নিম্নমানের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ব্যবহার করা,ওয়াশরুমে নিম্নমানের সরঞ্জাম ব্যবহার করা,জানালায় নিম্নমানের গ্লাস ব্যাবহার করা হয়েছে এবং ভবনে নেই বিদ্যুৎ সংযোগ, পৌর ভবনে যাতায়াত করার রাস্তাটি এখন পরিপূর্ণ ভাবে শেষ হয়নি যেখানে গিয়ে পৌরসভার মানুষ তাদের সেবা নিতে পারবেনা বা আমি তাদের সেবা দিতে পারবনা।
পৌর ভবনে বিদ্যুৎ সংযোগ ও যাতায়াতের জন্য রাস্তা না হওয়া পর্যন্ত জেলা পরিষদের জরাজীর্ণ ভবনে বসেই পৌরবাসীর সেবা দিতে হবে।ভবন নির্মাণের কাজে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম বিষয় টিকাদারকে নিম্নমানের সামগ্রী সরিয়ে সিডিউল মোতাবেক কাজ বুজিয়ে দিতে বলেছি। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সত্তাধারী আব্দুল্লাহকে পৌর ভবন নির্মাণ কাজে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করার কথা জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন আপনারা আমার বিরুদ্ধে যত পারেন লিখেন আমার কিছুই করতে পারবেন না।
ভবনে পৌর কার্যক্রম না করায় ক্রমেই মাদক সেবনকারীদের আখড়ায় পরিনত হচ্ছে।নিচ তলায় প্রতিটি রুমের দরজা খোলা ও বাথরুমের দরজা খোলা থাকায় মাদক সেবনকারীরা ইলেকট্রনিক জিনিসপত্র ও ব্যবহারিত জিনিসপত্র ভেঙে নষ্ট করছে।পৌরভবন উদ্বোধন করার আগেই ব্যবহার করার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
কাউন্সিলর জালাল সরদার,কাউন্সিলর বাবলু মাতুব্বর, কাউন্সিলর জাকির হোসেন জাকারিয়া বলেন নগরকান্দা পৌরসভার নিজস্ব কোন ভবন ছিলোনা জেলা পরিষদের ভবনে কার্যক্রম চলে আসছে। বর্তমাণে পৌরসভার নতুন ভবনের কাজ ঠিকাদার শেষ করলেও সেখানে যাতায়াতের রাস্তা নেই, বিদ্যুৎ সংযোগ নেই যে কারনে পৌরসভার কার্যক্রম এখনো শুরু হয়নি।
এ-সব কাজ শেষ হলেই নতুন ভবনে শুরু হবে পৌরসভার কার্যক্রম।পৌরসভার উপ সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) এস,এম লুৎফর রানা বলেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে সব কিছু ঠিকঠাক কাজ বুঝে নিয়ে তারপর কাজ বুঝে নিয়া হবে।