আসলাম খান কাউনিয়া (রংপুর)প্রতিনিধিঃ
রংপুরের কাউনিয়ায় রেলওয়ে জংশনে রেল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় রেল স্টেশন প্লাটফর্মের টার্মিনাল নির্মাণে অনিয়ম-দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা, কাজের ধীরগতি ও নিয়ম বহির্ভূতের অভিযোগ উঠেছে। ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করে দায়ীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
দেশবাসীর দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আলাদা রেল মন্ত্রণালয় করা হলেও এতে বিশেষ কোনো লাভ হয়েছে বলে মনে হচ্ছে না। সুলভ ও নিরাপদ বাহন হিসাবে মানুষ রেলভ্রমণে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। অথচ লাগামহীন অনিয়ম ও দুর্নীতি বিষয়ে কেনজানি উদাশিন রেল মন্ত্রনালয়ের কর্মকর্তারা।
কাউনিয়া রেল স্টেশন এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় যাত্রিদের বহিরাগমন ও গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য অত্যাধুনিক টার্মিনালের নির্মাণাধীন কাজ করা হচ্ছে। সেসব কাজে ব্যাপক অনিয়ম লক্ষ্য করা গেছে। কাজ চলা অবস্থায় সেখানে দীর্ঘ সময় ধরে পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে, যেখানে যে পরিমাণে পাথর বালি এবং সিমেন্ট দেওয়ার কথা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকরা সে পরিমান সিমেন্ট না দিয়ে তার চেয়ে অধিক বালি এবং মানহীন ইট পাথর ব্যবহারের পাশাপাশি ভিটি বালুর পরিবর্তে কাচা মাটি ব্যাবহার করছেন।
এছাড়াও প্লাটফর্মের সলিংয়ে ঢালাইয়ের সাথে যে পরিমান রড ব্যবহার করার কথা তাতেও রয়েছে অনিয়ম। সলিংয়ে যেসব ইট বিছানো হয়েছে সেসব ইটগুলো অনেকটা নিম্নমানের। কাউনিয়া রেল স্টেশন এলাকার বাসিন্দ আতিয়ার রহমান, আলী অগবর হালিম ও অরেঞ্জ মিয়া বলেন রেলওয়ে জংশনে অত্যাধুনিক রেল স্টেশনের বহিরাগমন প্লাটফর্মের নির্মানাধীন কাজে নিন্মমানের ইট, পাথর বালি এবং কম সিমেন্ট দিয়ে করা হচ্ছে প্লাটফর্মের ঢালাই কাজ এবং ঢালাইয়ের সময় রেলের কর্মকর্তা থাকার কথা থাকলেও কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারী উপস্থিত থাকেন না এই ধরনের অনিয়ম দেখে এলাকাবাশি বেশ কয়েকবার অভিযোগ দিলেও কাজ না হওয়া এবার একতাবদ্ধ হয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়ে কাউনিয়া স্টেশন মাস্টার মোঃ হুসনে মোবারককে অবহিত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্টেশন মাস্টার মোঃ হুসনে মোবারক জানান, শুনেছি প্রায় ৭৮ লক্ষ্য টাকা ব্যায়ে কাজ হচ্ছে। স্টেশনের এই কাজের দায়িত্বে রেলওয়ের লালমনিরহাট আইডাব্লিউবি দেখা শোনা করেন। কোন ঠিকাধারী প্রতিষ্ঠান কাজ করছে বা কিভাবে করবে এসব তথ্য আমাদের কাছে নেই। তারা কাজ সম্পর্ণ করে আমাদের কাছে হ্যান্ডওভার করলে তখন আমরা আমাদের কাজ বুঝে নিবো। এছাড়া কারা কাজ করছেন, কি করছেন তা দেখা শোনার দায়িক্ত সম্পুর্ণ আলাদা ডিপার্টমেন্টের এ বিষয়ে আপনারা রেলওয়ের লালমনিরহাট জোনের নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে যোগাযোক করেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ রেলওয়ের লালমনিরহাট জোনের সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মামুন-উর-রশিদ জানান আমরা অভিযোগ পেয়েছি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠিানকে বিষটি জানানো হয়েছে। স্টিমেট অনুযায়ী কাজ না হলে তার বিরুদ্ধে ব্যাবস্থ গ্রহন করা হবে। তার কাছে কাজের স্টিমেট ও তথ্য চাইলে তিনি তা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করে বলেন উপরের মানা আছে যাকে তাকে স্টিমেট দেয়া জাবে না। এদিকে রেলওয়ের লালমনিরহাট জোনের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আহসান হাবিব জানান প্রায় ৭৮ লাখ ৩৪ হাজার টাকা ব্যায়ে মেসার্স সোহনা এন্টারপ্রাইজ কাজটি করছে। স্টিমেট অনুযায়ী কাজ হচ্ছে এই কাজের বিষয়ে কোন অভিযোগ থাকলে আমাদের কাছে জানালে আমরা এর বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নিবো।
পাশাপাশি ঢালাইকৃত ¯গুবগুলো বুয়েটের ল্যাব দাঁড়া পরীক্ষা করার পরেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ফাইনাল বিল দেয়া হবে। এ দিকে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার বাবু মিয়া জানান স্টিমেট অনুযায়ী আমরা কাজ করছি। আমাদের মালিক রেল মন্ত্রির ভাতিজা হয় এ বিষয়ে নিউজ করে কোন লাভ হবে না। মেসার্স সোহনা এন্টারপ্রাইজের মোঃ সাজু মিয়া জানান আমি দলীয় মিটিংয়ে ঢাকায় আছি এ বিষয়ে পরে কথ হবে।
আপনারা যা পরেন লেখেন । কাজ দেখার দায়িত্ব রেলের আপনারা দেখার কে কাজ ভাল কিংবা খারাপ হয়েছে সেটা রেল কর্তৃপক্ষ বুঝবে আপনাদের এত মাথাব্যথা কেন, আপনাদের যা ইচ্ছে তাই করেন। তাই এলাকাবাসীর দাবি অতি দ্রুত তদন্ত সাপেক্ষে দায়িদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহন করে স্টিমেট অনুযায়ী কাজ করতে হবে । অন্যথায় আমরা কঠোর আন্দোলনে যাবো।