বিনোদন ডেস্ক
কমার্শিয়াল বাংলা সিনেমায় এখন আর তেমন একটা দেখা যায় না ভারতীয় অভিনেত্রী পূজা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এর জন্য এক অর্থে ক্ষোভই প্রকাশ করলেন তিনি। জানালেন, এখন সবাই তাকে নিয়ে আইটেম ডান্স করাতে চায়।
৬০ ও ৭০ দশকের এক ক্যাবারে ডান্সারের চরিত্র করতে গিয়ে যে জার্নির মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন পূজা তা খুবই এনজয় করেছেন। এই সিরিজের জন্য নিজেকে তৈরি করতে নতুন এই নাচ শিখেছেন পূজা। ক্যাবারে কুইন হেলেনই তার অনুপ্রেরণা। তার নৃত্যশৈলী, বডি ল্যাঙ্গুয়েজ, এক্সপ্রেশন দেখেই নিজের মত করে তৈরি করেছেন তিনি।
সিরিজে রেট্রো লুকে দেখা যাবে তাকে। তা নিয়ে প্রথম থেকেই এক্সাইটেড ছিলেন। গ্ল্যামারাস লুকে বিভিন্ন হেয়ার স্টাইলের পাশাপাশি, নো মেকআপ লুকেও দেখা গিয়েছে তাকে। বলিউড ও টলিউডে সমানতালে কাজ করে চলছেন তিনি। মা হওয়ার পর দুই ইন্ডাস্ট্রিতে কতটা চ্যালেঞ্জিং ছিল কাজ করা?
নায়িকার মত, আমার ছেলে খুব ফ্লেক্সিবল। আমার কাছে ও আশীর্বাদের মত। ওর ৬ মাস বয়স থেকে আমি কাজ শুরু করেছি। আমার মা বা আমার শাশুড়ির কাছে থাকে ও। তবে আমি মিস করি ও কাছে না থাকলে। মা হিসাবে অপরাধ বোধ মনে আসে, সারাক্ষণ মনে হয় নিজের বাচ্চাকে ছেড়ে দিচ্ছি।
কমার্শিয়াল বাংলা সিনেমাতে নায়িকাকে বেশ পছন্দ করেছিলেন দর্শক। বর্তমানে তাকে আর সেভাবে অভিনয় করতে দেখা যায় না। চিত্রনাট্য বেছে বেছে সিনেমা করছেন বলেই কী? নায়িকার মতে, এখন আর অত কমার্শিয়াল সিনেমা তৈরি হয় না, তবে আমার বিশ্বাস আবার সেই সময়টা ফিরে আসবে যখন ওই ধারার সিনেমা তৈরি করবেন পরিচালকরা। কনটেন্ট বেসড সিনেমাতে আমায় কেউ নেয়ও না। সবাই আমাকে দিয়ে আইটেম ডান্স করাতে চায়, এই ধারার সিনেমাতে খুব একটা আমায় নিয়ে কেউ ভাবেনও না।
সদ্য এক রিয়্যালিটি শো-য়ে মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে স্টেজ শেয়ার করেছেন পূজা। ডিস্কো ডান্সারের সঙ্গে সিনেমায় কাজ করার প্রবল ইচ্ছা রয়েছে নায়িকার। প্রসেনজিত্ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে সদ্য কাজ করেছেন, একটা ইচ্ছা পূরণ হয়েছে তার। পরিচালক রাজ চক্রবর্তীর সিনেমাতে কাজ করারও ইচ্ছাপ্রকাশ করেন নায়িকা।
সোশ্যাল মিডিয়া ট্রোলিং প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অনেক কষ্ট করে কেউ এই কাজ করেন, ট্রোলিং এখন নতুন প্রফেশন। যদিও আমার সবচেয়ে বড় ক্রিটিক আমার স্বামী। আমি যতই ভালো কাজ করি না কেন ও খুঁত খুঁজে বের করে। আবার আমিও নিজের বড় ক্রিটিক। তবে ট্রোলারদের কথা এড়িয়ে যাই। আগেও কথা হত, এখনও হয়। শুধু নতুন একটা প্ল্যাটফর্ম হয়েছে। মাঝে মাঝে উত্তর দিতেও ইচ্ছা হয়, আবার সামলে নেই, আর একেবারে পাত্তা দিই না।