ঢাকাবুধবার , ৩১ জুলাই ২০২৪
  1. অন্যান্য
  2. অভিযোগ
  3. অর্থনীতি
  4. আইন বিচার
  5. আওয়ামী লীগ
  6. আগুন
  7. আটক
  8. আন্তর্জাতিক
  9. আবহাওয়া
  10. আমাদের পরিবার
  11. আরো
  12. আলোচনা সভা
  13. ইতিহাস ও ঐতিহাসিক
  14. ইসলাম
  15. ইসলামী জীবন

মিঠাপুকুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় একজনের মৃত্যু

50
admin
জুলাই ৩১, ২০২৪ ৭:১৫ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

বিশেষ প্রতিনিধি

রংপুরের মিঠাপুকুরে জায়গা জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় ফুলবাবু মিয়া (৫৮) নামে এক ভ্যানচালকের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে একজনকে গ্রেফতার সহ  জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুজনকে আটক করেছে মিঠাপুকুর থানা পুলিশ। মৃত- ফুলবাবুর মরদেহ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে বলে জানিয়েছেন তার স্বজনরা।

মঙ্গলবার (৩০-জুলাই) দুপুর আনুমানিক দুই ঘটিকার সময় ফুলবাবু চিকিৎসাধীন অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। এরপূর্বে গত-মঙ্গলবার (২৩-জুলাই) সকাল আনুমানিক ১০ টার সময় বাড়ির পাশে জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষ আতিকুর রহমান চয়ন (৩২) এবং নজরুল ইসলাম ফুল ফারুক গংয়ের এলোপাতাড়ি দায়ের কোপে ফুল মিয়া এবং তার ভাই ফরিদ মিয়া সহ ৭/৮ জন গুরুত্বর আহত হন।

স্থানীয়রা জানান, মিঠাপুকুর উপজেলার ০৪ নং ভাংনী ইউনিয়নের ঠাকুর বাড়ি তেলীপাড়ায় প্রতিবেশী লুৎফর রহমান দুলুর সঙ্গে ভ্যানচালক প্রতিবন্ধী নিহত ফুল মিয়া এবং তার ভাই ফরিদ মিয়ার, পঁচিশ শতাংশ জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো। ঘটনার দিন (২৩-জুলাই) মঙ্গলবার, আতিকুর রহমান চয়ন এবং নজরুল ইসলাম ফুল ফারুক সহ তার ছেলে মোকছেদুল, মনজুরুল, চয়নের ভগ্নিপতি, ওবায়দুল,নয়ন,নাইম মিলে তাদের ভাড়াটে ৪০/৫০ জন সন্রাসী জোরপূর্বক জমি দখলের উদ্দেশ্যে বিবাদমান জমিতে অবস্থান নেয়। এসময় জমির কাগজ নিয়ে ফুল মিয়া এবং ফরিদ মিয়া জমিতে যাওয়া মাত্রই চয়ন এবং নজরুল ইসলাম (ফুল ফারুক) প্রতিবন্ধী ফুল মিয়া এবং তার ভাই ফরিদ মিয়াকে দা দিয়ে কোপাতে শুরু করেন। এসময় তাদের বাঁচাতে গিয়ে আহত হন প্রায় ৭/৮ জন।

এসময় স্বজনরা আহত ফুল মিয়া এবং ফরিদ মিয়াকে আশংকাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে পীরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে মিঠাপুকুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করেন। ঘটনার প্রায় একসপ্তাহ পর ফুল মিয়া রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। তবে স্বজনদের দাবি, আহত ফরিদ মিয়ার অবস্থা আশংকাজনক। যেকোনো সময় ভিন্ন রকম কিছু ঘটতে পারে।

এদিকে ঘটনার সাত দিন পেরিয়ে গেলেও মামলা গ্রহন না করে উল্টো তালবাহানা সহ ভূক্তভোগীদের হয়রানি এবং হুমকি ধামকি দিয়ে অনৈতিক সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মিঠাপুকুর থানার অপারেশন (ওসি) নাহিদ হাসানের বিরুদ্ধে। এসময় নিহত ফুলবাবুর স্বজনরা জানান, অপারেশন ওসি নাহিদ হাসান,এতবড় ঘটনা ধামাচাপা দিতে পুলিশের পরিবর্তে দালাল নিয়ে ঘটনাস্থলে তদন্তে এসেছিলেন। যতবার মামলার বিষয় নিয়ে থানায় আমরা গিয়েছি, আমাদের বিভিন্ন ভাবে প্রভাবিত করে থানার বাহির থেকে ফেরত আসতে হয়েছে। আর নাহিদ হাসানের সহযোগিতায় আসামিরা প্রকাশ্য ঘুরলেও তাদের গ্রেফতার করা হয়নি। এখন মূল অভিযুক্তরা পলাতক।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত অপারেশন (ওসি) নাহিদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আপনাদের যা খুশি লেখেন। তবে এই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে বিভিন্ন অনৈতিক  কর্মকান্ডের কারনে উর্ধতন কর্তৃপক্ষ তাকে শোকজ করেছে। যাহা এখনো চলমান বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন পুলিশ সদস্য জানান, প্রতিটা জায়গায় অপারেশন ওসি নাহিদের দালাল সোর্স রয়েছে। এমনকি থানায় তার অধিনস্ত অন্য কর্মকর্তাদের কাজে প্রভাব বিস্তার করেন।

মিঠাপুকুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ দৈনিক তালাশ টাইম কে জানান, মারামারির ঘটনায় ফুল মিয়া নামে একজন নিহত হওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত একজনকে আটক করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। তবে মামলা বিলম্ব এবং অপারেশন ওসি নাহিদের গাফিলতি সহ বিভিন্ন অভিযোগের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলেও তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।

এই সাইটে নিজম্ব খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকে। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো। বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।