মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের সংর্ঘষে সাবেক ছাত্রদল লাবলু আহমেদ (৪২) নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরো দুই জন।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর)দুপুর একটার দিকে ঘিওর বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় গেলে প্রতিপক্ষের লোকজন ধারালো অস্ত্র নিয়ে লাবলুর উপর হামলা চালায়। এক পর্যায়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে লাবলু ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত একজনকে মুন্নু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং অপরজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
নিহত লাবলু কুস্তা গ্রামের মৃত আব্দুল হালিমের ছেলে। আহতরা হলেন, কুস্তা গ্রামের মৃত দীন ইসলামের ছেলে রাহাদুজ্জামান খান ও কুস্তা গ্রামের শওকত আলীর ছেলে হিমেল। নিহত লাবলু আহমেদ ২০০৩ সালে ঘিওর উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। বিগত চার মাস আগে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েত থেকে দেশে ফিরে লাবলু আহমেদ ফের বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে উঠেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, গত কয়েকদিন ধরে স্থানীয় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ চলছিল। ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, দুই পক্ষের সংঘর্ষে এক বিএনপি নেতা মারা গেছে এবং কয়েকজন আহত আছে। এ ঘটনায় এখনও কেউ মামলা করেনি। তবে জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।