টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে তিন ফসলি জমিতে অবৈধভাবে গড়ে উঠা ৬ ইটভাটায় অভিযান চালিয়ে কাঁচা ইট ধ্বংস ও ভাটার একাংশ গুড়িয়ে দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর। সেইসাথে ৬ ভাটা মালিককে ২৪ লাখ টাকা জরিমানা ও ভাটাগুলো অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে বিকেল পর্যন্ত চলে অভিযান এই নির্দেশ দিয়েছেন পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুলতানা সালেহা সুমি।
জানা গেছে, পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্দেশনা অমান্য করে ছাড়পত্র ছাড়া তিন ফসলি জমির ওপর টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার বহুরিয়া গ্রামে আরবিসি, এমএসবি, বাটা, এইচইউবি, গোড়াই ইউনিয়নের মীর দেওহাটা গ্রামে সনি ও বাইমাইল গ্রামে বিএন্ডবি ব্রিকসসহ সাতটি ইটভাটা নির্মাণ করে ইট তৈরী ও পোড়ানো হচ্ছিল। এর একটি ইট ভাটায় কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০ একর আবাদী জমি ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। সম্প্রতি এ বিষয়ে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়।
এই অবৈধ ইটভাটার বিষয়টি জানতে পেয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টা থেকে উল্লেখিত ওই ছয় ইট ভাটার অভিযান পরিচালনা করেন।
অভিযানে পরিবেশ অধিদপ্তর ঢাকা সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুলতানা সালেহা সুমি প্রত্যেক ইটভাটার মালিককে ৪ লাখ টাকা করে জরিমানা করেন। অবৈধ ভাটাগুলোর একাংশ ভেকু মেশিন দিয়ে ভেঙে ফায়ার সার্ভিস সদদ্যদের মাধ্যমে পানি দিয়ে আগুন নেভানো হয়। পরে ওই ইটভাটাগুলোতে ইট প্রস্তুত ও পোড়ানো অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
এ সময় টাঙ্গাইল পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মিয়া মাহমুদুল হক, সহকারী পরিচালক সজীব কুমার, পরিদর্শক বিপ্লব কুমার সুত্রধর, মির্জাপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার বেলায়েত হোসেন, পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর সদ্যরা উপস্থিত ছিলেন।
টাঙ্গাইল জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মিয়া মাহমুুদুল হক বলেন, মির্জাপুরে অবৈধভাবে গড়ে উঠা ইটভাটাগুলো আগেই পরিদর্শন করে এর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পরিবেশ অধিদপ্তরের ইনফোর্সমেন্ট শাখায় সুপারিশ পাঠানো হয়েছিল। বৃহস্পতিবার পরিবেশ অধিদপ্তর ঢাকা সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ৬টি ইটভাটায় অভিযান পরিচালনা করে চার লাখ করে ২৪ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন। এছাড়া ভাটা গুলোতে ইট প্রস্তুত ও পোড়ানো বন্ধ ঘোষণা করেছেন তিনি।