নেই পাশে কেউ যার, সমাজসেবা আছে তার’ এ প্রতিপাদ্য সামনে রেখে ২ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার জামালপুরে বর্ণাঢ্য আয়োজনে সমাজসেবা দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হয় কল্যাণরাষ্ট্র বিষয়ে মুক্ত আড্ডা ও ওয়াকাথন (শোভাযাত্রা)। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক হাছিনা বেগম।
আড্ডা সমাপনী করেন জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো: রোকোনুল ইসলাম।
আড্ডায় মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন জামালপুর জেলার সুযোগ্য অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইফতেখার ইউনুস, সিভিল সার্জন ডা: মো: ফজলুল হক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সুমী আক্তার, জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক মীর ইসহাক হাসান ইখলাস, সদস্য সচিব আবিদ সৌরভ, সমাজসেবা কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন, জামালপুর সদর উপজেলার সমাজসেবা অফিসার মো: শাহাদাৎ হোসেন, উন্নয়ন সংঘের মানবসম্পদ উন্নয়ন পরিচালক জাহাঙ্গীর সেলিম, জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ফজলে এলাহী মাকাম, সূর্য তোরণ সমাজ সেবা সংস্থা’র নির্বাহী পরিচালক ও মানবাধিকার কর্মী মো: খোরশেদ আলম, প্রশিক্ষণ ও সমাজ উন্নয়ন কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক মো: এনামুল হক, আন্তর্জাতিক সাংবাদিক সংগঠন ই-প্রেস ক্লাব জামালপুর জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মো: এমদাদুল হক প্রমুখ।
সভা সঞ্চালনা করেন জামালপুর জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আবু ইলিয়াস মল্লিক ও শহর সমাজসেবা অফিসার মো: ফারুক মিয়া।
আড্ডা ও ওয়াকাথনে সরকারি- বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিপুলসংখ্যক মানুষ অংশ নেন। এবারের জাতীয় সমাজসেবা দিবসে স্লোগান রাখা হয় কল্যাণময় হোক নতুন দেশ, শান্তি সমৃদ্ধির বাংলাদেশ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জামালপুর জেলার সুযোগ্য জেলা প্রশাসক হাছিনা বেগম বলেন- সমাজসেবার ৫৪ ধরনের সেবা দেওয়া হলেও সংশ্লিষ্ট সবাই কি তা পাচ্ছে। যদি পেয়েও থাকে তাহলে তার কি সঠিক ব্যবহার হচ্ছে। সুযোগগুলো ইতিপূর্বে হাইজ্যাক করা হয়েছে, অনিয়ম করা হয়েছে পরিবর্তিত বাংলাদেশে এসব আর করতে দেওয়া হবে না। এ ব্যাপারে সবাইকে সচেতন হতে হবে।
কল্যাণরাষ্ট্র সম্পর্কে বলতে গিয়ে জেলা প্রশাসক বলেন- রাষ্ট্রের একার পক্ষে সবকিছু করা সম্ভব নয়। নাগরিকদের সদিচ্ছা পালন কলতে হবে। রাষ্ট্র নাগরিকদের অধিকার দিবে তবে নাগরিকদেরও স্ব স্ব অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। সবাই যদি ট্যাক্স পরিশোধ করে তাহলে রাষ্ট্র তার নাগরিকদের সবধরনের সুবিধা দিতে পারবে। নাগরিকরা সরকারের কাছে জবাবদিহিতা চাইবে। এতে দুর্নীতি বন্ধ হবে। পুঁজিবাদী ব্যবস্থার অবসান হবে। গড়ে উঠবে বাংলাদেশ একটি কল্যাণ রাষ্ট্র হিসেবে।
জেলা প্রশাসক আলোচনার মধ্যে কানাডার উদাহরণ টেনে বলেন- কোন বাড়ির সামনে বরফ জমা হলে মালিক তা নিজ দায়িত্বে দুই ঘণ্টার মধ্যে পরিষ্কার না করলে জরিমানা দিতে হয়। আর আমরা গবাখালি খাল ময়লা, আবর্জনা ফেলে ভরাট ও দূষণ করছি প্রতিনিয়ত। তাই নাগরিকেরা সচেতন না হলে কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়।
আড্ডা শেষে চার ক্যাটাগরিতে পুরস্কার দেওয়া হয়। ছাত্র হিসেবে ইয়াসিন আরাফাত, প্রতিবন্ধী হিসেবে মো. ইকবাল হোসেন, জুলাই কন্যা হিসেবে নাফিজা আলম দিয়া এবং জনতা ক্যাটাগরিতে মো. রবিজল পুরস্কার পান।