মানিকগঞ্জের খান বাহাদুর আওলাদ হোসেন খান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মজিদ মোল্লার বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতি ও প্রশাসনিক অনিয়মের একাধিক অভিযোগ উঠেছে।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এবং জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১২ সালে প্রধান শিক্ষক পদে যোগদানের পর থেকে মজিদ মোল্লা বিদ্যালয়ের অর্থ আত্মসাৎ, অযৌক্তিক নিয়োগ, ভর্তি নীতিমালা লঙ্ঘনসহ নানা অনিয়মে জড়িয়ে পড়েছেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে জানা গেছে, তিনি স্কুলের তহবিল থেকে টাকা তছরুপ করে মানিকগঞ্জ শহরে বিলাসবহুল সাততলা ভবন নির্মাণ করেছেন।
শিক্ষার্থীরা আরো অভিযোগ করেছেন, বিভিন্ন অজুহাতে টাকা আদায় করেও সেই অর্থ বিদ্যালয়ের উন্নয়নে ব্যয় হয়নি। বরং তা মজিদ মোল্লার ব্যক্তিগত সম্পদে রূপ নিয়েছে। শিক্ষকরা জানান, শিক্ষার্থীদের থেকে নেওয়া অতিরিক্ত অর্থ দিয়ে বঙ্গবন্ধু কর্নার স্থাপন ও ভাস্কর্য নির্মাণ করে আলোচনায় আসার চেষ্টা করেছেন মজিদ মোল্লা।
একাধিক অভিযোগে বলা হয়েছে, নিয়ম লঙ্ঘন করে তাঁর পছন্দের ব্যক্তিদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এমনকি, শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যের বই ফেরত নিয়ে বিক্রি করার অভিযোগও পাওয়া গেছে।
প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে একাধিক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে, সাংবাদিকরা তথ্য অধিকার আইনে তার নিকট তথ্য চাইলে তিনি নানা তালবাহানা করে সাংবাদিকদের তথ্য না দিয়ে টাকা দিয়ে তাদেরকে ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন।
অভিযোগের বিষয়ে মজিদ মোল্লা সব দাবি অস্বীকার করে বলেছেন, “এসব ভিত্তিহীন। আমার সম্পত্তি বৈধ উপায়ে অর্জিত। বিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষক বিদ্বেষমূলক আচরণ করে এসব গুজব ছড়াচ্ছেন।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আমীর হোসেন বলেন, “লিখিত অভিযোগ পেলে মন্ত্রণালয়কে অবহিত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” জেলা প্রশাসক ড. মানোয়ার হোসেন মোল্লা জানান, “অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি উঠেছে।