মাহাবুব আলম তুষার, মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি
মানিকগঞ্জে আলোচিত দলবদ্ধ ধর্ষণ মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মো. আবুল মিয়া ওরফে রাজিব (৪৫) কে ২১ বছর পর গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৪।গত রবিবার সাড়ে ১০ টায় সিংগাইর উপজেলার ভূমদক্ষিন এলাকা হতে গ্রেফতার করে।গ্রেফতারকৃত আবুল মিয়া ওরফে রাজিব মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার ধল্লা উত্তর পাড়া গ্রামের গেদা ফকিরের ছেলে।সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টা দিকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৪, সিপিসি-৩ এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মো. আরিফ হোসেন।
র্যাব জানায়, ২০০৩ সালে ভুক্তভোগী স্নেহা আক্তার (১৭) এর উপর দলবদ্ধ ধর্ষনের ঘটনা ঘটে।ভুক্তভোগী স্নেহা মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলায় বসবাস করতেন এবং ঢাকার হেমায়েতপুরের একটি গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। গার্মেন্টসে আসা যাওয়ার পথে আবুল মিয়া (২৫) ভুক্তভোগীকে বিভিন্ন সময় কুপ্রস্তাব দিতেন। সেই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ২০০৩ সালের ২৭ মে রাত সাড়ে ৮টার দিকে আবুল মিয়া, মানিক, খালেক ও কালাম ভুক্তভোগীকে ধল্লা ইউনিয়নের ফজলু মিয়ার গাজিন্ধার চকে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করেন। পরে ভুক্তভোগী স্নেহার চিৎকারে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধারের পর সিংগাইর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
পরে ভুক্তভোগী স্নেহার বাবা বাদী হয়ে মানিকগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি গণধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আবুল মিয়া ও মানিককে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। আদালত সাক্ষ্যপ্রমাণ গ্রহণ শেষে ২০১৭ সালের ১৪ মে আসামি আবুল মিয়া ও মানিককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন আদালত।
র্যাব-৪, সিপিসি-৩ এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মো. আরিফ হোসেন জানান, মানিকগঞ্জের সিংগাইরের আলোচিত গণধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি মো. আবুল মিয়া ওরফে রাজিব। তিনি ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিলেন।আসামী দেশের বিভিন্ন স্থানে ছদ্মনাম রাজীব ব্যবহার করে আত্নগোপনে থেকে কখনো দিনমজুর ও সবজী বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করত।এ সময়ে তিনি নিজের নাম পরিবর্তন করে অন্য গ্রামে বিয়ে করে সংসার করছিলেন। দীর্ঘ প্রায় ২১ বছর ধরে পলাতক আবুলকে গত রোববার রাতে সিংগাইর উপজেলার ভূমদক্ষিণ গ্রাম থেকে গ্রেফতার করি।তাকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।