ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ইউনিয়নের আরামবাগ চর কান্দা গ্রামের শনিবার বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে শাহিন মোল্লা কে বাড়ি থেকে ঢেকে নেয় বাচ্চু মোল্লা লোকজন। আপন দুই ভাই রাস্তা আসে।আসার সাথে সাথে দেশি অস্ত্র চাইনিজ কুড়াল ও রাম দাও দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে দুই ভাই কে বাড়ি পাশে পুকুরের মধ্যে ফেলে দেয়।
এর পর শুরু হয় দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের বাড়িঘর ও দোকান ঘর সহ ভাঙচুর সহ ৮ টি বাড়িতে দোকান ঘর সহ লুটপাটে ঘটনা ঘটে।এতে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়। এর মধ্যে গুরুতর আহত ৫ জনকে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।এবং ভুলু মোল্লা ছেলে দুজনকে প্রথমে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এর পর দুই জন গুরুতর আহত হওয়া মোঃ শামীম মোল্লা (৪০)ও মোঃ শাহিন কে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে। অন্য দিকে আহত বাচ্চু মোল্লা (৪০), সানু বেগম (৬০), মোহাম্মদ মোল্লা (৭০), রব মোল্লা (৭৫) নামক সহ আহত ব্যক্তিদের ।বাচ্চু মোল্লার লোকজন এলাকার ১জনে ভূ-হা ও মিথ্যা মৃত্যু সংবাদ প্রচার চালায়।
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (শানু বেগম)নামক মহিলা মারা গেছে,। এমন গুজব মিথ্যা মৃত্যু সংবাদ এলাকা ছড়িয়ে পড়লে এলাকা থেকে পুরুষ মানুষ পালিয়ে যায়।এ সময় ব্যাপকভাবে ৭টি বাড়ি ঘরে টার্গেট করে ভাঙচুর লুটপাটের হামলা চালায় বাচ্চু মোল্লার লোকজন। ভুক্তভোগীরা হলেন, ভুলু মোল্লা, খোকন মোল্লা, আবু মোল্লা,সিদ্দিক মোল্লা, জয়নাল মোল্লা বাড়ি ঘর সহ আনুমানিক তিন লক্ষ টাকা সহ বাড়ি ঘরে এসব ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এ বিষয় ভুক্তভোগী ভুলু মোল্লা অভিযোগ করেন। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, আলগী ইউনিয়নের চরকান্দা গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ভুলু মোল্লা ( ৬৫) ও রব মোল্লার (৭০)এর মধ্যে দীর্ঘদিনের যাবত বিরোধ চলছে । অতীতে একাধিকবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সর্বশেষ শনিবার (২১ ডিসেম্বর) বিকালে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে কমপক্ষে ১০ জন মতন আহত হয়েছে। এলাকার সূত্রে জানা যায়।