ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি :
বাংলাদেশ প্রেসক্লাব নগরকান্দা উপজেলা শাখার সভাপতি ও নগরকান্দা প্রেসক্লাবের সাবেক সহ সভাপতি সাংবাদিক মিজানুর রহমানের নামে বরিশাল বিভাগের বরগুনার আদালতে মিথ্যা মামলা ও বরগুনা সদর থানায় মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে মামলা ও জিডি করেন খাজুরতলা আবাসনের বাসিন্দা রুবি নামের এক নারী।
তার স্বামীর নাম সুমন তালুকদার। মামলা বরগুনা থানার এফ আই আর নং -২০/৪০৬ তারিখ ১৯/১২/২০২২ খ্রিঃ ধারাঃ৩৪১/৩২৩/৩২৫/৩০৭/৩৫৪/৩৭৯/৫০৬ পেনাল কোড। স্হানীয় তিনজন সহ সাংবাদিক মিজানুর রহমানকে আসামী করে।আসামীরা হলেন ১। মোঃ আজমল হুদা মিঠুন(৪০) সাং খাজুরতলা থানা বরগুনা ২। মিজানুর রহমান (সাংবাদিক)(৫০) জেলা ফরিদপুর ৩।জাকির হোসেন(৪০) সাং খাজুরতলা ৪।মজিবর (৩৭) সাং খাজুরতলা থানা বরগুনা। ৪ নং আসামীর পরিচয় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই পবিত্র কুমার খুজে না পাওয়ায় চার্জসিটে তার নাম দেয়নি।
কিন্তু বাদীর সাথে অর্থের বিনিময়ে এই মামলার ২ নং আসামী সাংবাদিক মিজানুর রহমান যার বাড়ি ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা উপজেলায় তাকে আসামী করে আদালতে মিথ্যা চার্জসিট দাখিল করেন এস, আই পবিত্র কুমার। আদালতে মামলা করেও ক্ষান্ত হয়নী মামলার বাদী রুবি আক্তার।
মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে তাকে তুলে নেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ আদালতে অভিযোগ করেন মোকদ্দমা বিজ্ঞ অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত, বরগুনা জি,আর ৪০৬/২০২৩(বর) ধারা ৩২৫/৩২৩/৩০৭/৫০৬ দঃ বিঃ এবং আদালত সংশ্লিষ্ট থানায় তদন্তের নির্দেশ দেন।
বরগুনা থানার এস, আই মাইনুল হাসান তদন্ত করে এর কোন সত্যতা না পাওয়ায় আদালতে আসামীদের পক্ষে প্রতিবেদন দাখিল করেন।আসামীদের জামিন বাতিলের জন্য দ্বিতীয়বার মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে বরগুনা সদর থানায় একটি জিডি করেন।জিডি নং ১০৩৮ তারিখঃ ২০/০৭/২০২৩। এস আই খাইরুল আলম সরেজমিনে তদন্ত করে এর কোন সত্যতা না পেয়ে আসামীদের পক্ষে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস, আই পবিত্র কুমার বিপি নং ৭৭৯৭০৫৫৮৩৬ সাব- ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) মামলাটি সঠিক তদন্ত না করে বাদীর নিকট থেকে অর্থ নিয়ে আদালত মিথ্যা মনগড়া চার্জসিট দাখিল করেন। যে কারনে মামলার আসামী সাংবাদিক মিজানুর রহমান সহ অন্য আসামীরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
এই মামলার স্হানীয় আসামী নাজমুল হুদা মিঠুন, জাকির হোসেন বলেন, আমরা রুবীকে মারধর করিনি সেখানেও যায়নি তবে শুনেছি আবসনে মসজিদ উঠানো নিয়ে চিল্লাচিল্লি হয়েছে। আবাসনের অনেকেই বলেন আবাসনে মসজিদ উঠানো নিয়ে রুবি বাধা দেয় এবং তার স্বামী সুমন তাকে ধাক্কা দিলে মাটিতে পড়ে তার হাতে আঘাত লাগে। প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে তাদের নামে মিথ্যা মামলা করেছে।এছাড়া রুবি এলাকায় মামলাবাজ নারী হিসাবে সবাই চিনে। মামলাবাজ নারী রুবির বিরুদ্ধে স্হানীয় লোকজন অতিষ্ঠ হয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন এবং প্রশাসনিক বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন।
মামলার বিষয়ে সাংবাদিক মিজানুর রহমান বলেন, জীবনে কোন দিন বরগুনা যায়নি কিন্তু হঠাৎ করে থানায় ওয়ারেন্ট আসে খবর পেয়ে বরগুনার আদালত হাজিরা দিয়ে জামিন নেই এবং কাগজপত্র নিয়ে জানতে পারি রুবি নামে এক নারী বাদী হয়ে ২০২২ সালে মামলা করেছে এবং ২০২৩ ইং সালে ওয়ারেন্ট ইসু হয়।সাংবাদিক মিজানুর রহমান আরও বলেন তার নিজ উপজেলার কথিত মুক্তিযোদ্ধা বহরুপী হাবিবুর রহমান হারুন এর অপরাধ অপকর্মের ফিরিস্তি বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ করায় সে দেশের বিভিন্ন থানা আদালতে একাধিক মামলা ও অসংখ্য জিডি করেন এবং তার প্রতারণা চক্রের নারী সদস্য বরগুনার রুবিকে বাদী বানিয়ে আদালতে মামলা করান।এস আই পবিত্র কুমার আদালতে মিথ্যা চার্জসিট দাখিল করায় হয়রানির শিকার হচ্ছি।আদালতে মনগড়া মিথ্যা চার্জসিট দেওয়ায় এস আই পবিত্র কুমার এর নামে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ হলে প্রশাসনিক ভাবে তার বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ করে তাকে অন্যত্র বদলি করা হয়েছে বলে থানা সুত্রে জানা যায়।ভুক্তভোগীরা জানান পুলিশ নামে কলংক টাকার বিনিময়ে ধরাকে সরা জ্ঞান করতেন এস, আই পবিত্র কুমার
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই পবিত্র কুমার কে তার মোবাইল নাম্বার একাধিকবার ফোন দিলে ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য জানা যায়নি।