মিজানুর রহমানঃ
লালমনিরহাট জেলা পরিষদ উপনির্বাচনে আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামলের প্রার্থীতা ফিরিয়ে দিতে উচ্চ আদালত নির্দেশ দিয়েছে।
লালমনিরহাট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনের তফশীল ঘোষনা অনুযায়ী ৯ মার্চ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল, নির্বাচনী দুটি বিধির উপর আপত্তি জানিয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তাহমিদুল ইসলাম বিপ্লব হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন করেন,মহামান্য হাইকোর্ট শুনানি শেষে ২০ দিনের নির্বাচনী স্থগিতাদেশ দেন,পরবর্তীতে সেটি একমাস বর্ধিত করা হয়।এই স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে রিট পিটিশন করায় মহামান্য সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ পুর্বের আদেশটি ০৮ সপ্তাহের জন্য স্থগিতাদেশ দেন।এই আদেশ পাওয়ার প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন ০৩ রা এপ্রিল জেলা পরিষদের উপনির্বাচনের তারিখ নির্ধারন করে।
নির্বাচনের তারিখ নির্ধারিত হওয়ার প্রেক্ষিতে গড্ডিমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামল তার প্রার্থীতা ফেরত চেয়ে হাইকোর্টে আপিল করেন,গত ২৮ ফেব্রুয়ারী সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের চেম্বার বিচার পতি এনায়েতুর রহীম রিট পিটিশনের আদেশ দেন,আদেশে নির্বাচন কমিশনকে আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামলের প্রার্থীতা ফিরিয়ে দেবার নির্দেশ দেন,আদেশের প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামল কে নির্বাচন করার অনুমতি দেন।
গড্ডিমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শ্যামলের নির্বাচন করার আর কোন বাঁধা না থাকায় ইতিমধ্যে তিনি মনোনয়ন পত্র জমা দেন।আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামল লালমনিরহাট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে একজন শক্তিশালী প্রার্থী,উপনির্বাচনে বিজয়ী হতে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুড়ে বেড়াচ্ছেন।লালমনিরহাট সদর উপজেলার পঞ্চগ্রাম ইউনিয়ন,ভেলাবাড়ী ইউনিয়নের ভোটারদের সাথে শ্যামল ইতিমধ্যে মতবিনিময় করেছেন।
আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামলের সাথে কথা হলে জানায়,লালমনিরহাট জেলা পরিষদ নির্বাচনে আমি প্রার্থী হিসেবে ভোটারদের সাথে দেখা সাক্ষাৎ করছি,আমি জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।