এম,সাইদুর রহমান-ক্রাইম রিপোর্টার:
পটুয়াখালীর বাউফলে তাকিয়া আক্তার (২২) নামের এক নারীর গলায় ফাঁস দিয়ে রহস্যময় মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে।মৃত্যুর পরে তাকিয়াকে তাঁর স্বামী ও শাশুড়ি মিলে বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রেখে পালিয়ে যায়। এতে তাকিয়ার স্বজনদের ও এলাকার লোকজনের মধ্যে সন্দেহ তৈরি হয়। ৭ই মে মঙ্গলবার বেলা আনুমানিক এগারোটার দিকে উপজেলার বিলবিলাস গ্রামের গাজী বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, উপজেলার সূর্যমনি ইউনিয়নের রামনগর এলাকায় হাওলাদার বাড়ির হোসেন হাওলাদারের মেয়ে তাকিয়া (২২)। নয় মাস পূর্বে মেয়েকে উপজেলার বিলবিলাস গ্রামের গাজী বাড়ির ফজলু গাজীর ছেলে মিরাজ গাজীর সাথে বিবাহ দেয়া হয়। স্বামী মিরাজ গাজী ঢাকায় সিটের ব্যবসা করেন।
মেয়ের চাচাতো ভাই জাকির হোসেন বলেন, বিবাহের ২/৩ মাস পরেই তাকিয়াকে তার স্বামী বিভিন্নভাবে শারীরিক নির্যাতন শুরু করেন।কারনে-অকারনে প্রায়ই তাকে মারধর করেন। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল মঙ্গলবার (৭ই মে) সকাল ১০:৩০ মিনিটের দিকে তাকিয়াকে ব্যাপক মারধর করে নির্যাতন চালায়।পরে গলায় কাপড় পেচিয়ে ফাঁস দিয়ে মারার নাটক সাজানো হয়।আমরা এর উপযুক্ত বিচার চাই। তিনি আরো বলেন, আমরা মামলা করতে গেলে, মামলা নেয়া হয়নি। বলা হয়, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী নেয়া হবে।
এদিকে শ্বশুর বাড়ির লোকজন পরিস্থিতি খারাপ দেখে ওই নারীকে বাউফল হাসপাতালে নিয়ে আসেন। কিন্তু কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।পরে হাসপাতাল থেকেই তাকিয়ার স্বামী ও শাশুড়ি লাশ রেখে পালিয়ে যায়।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি শোনিত কুমার গায়েন বলেন, আমরা খবর পেয়ে হাসপাতাল থেকে লাশ থানায় নিয়ে আসি। মেয়ের বাবা-মা লাশ নিতে চাইলে আমরা ময়নাতদন্ত ছাড়া লাশ হস্তান্তর করতে পারি না বলে তাদের জানিয়ে দেই। প্রশ্নের এক পর্যায়ে তিনি (ওসি) বলেন, বাউফল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রাথমিকভাবে গলায় ফাঁসের আলামত পেয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের জন্য আমরা লাশটি পটুয়াখালীতে রেফার করেছি। নির্যাতনে মারা গেছে নাকি অন্য কারনে তা রিপোর্ট পেলে পরে জানা যাবে। তবে মেয়ের শ্বশুর বাড়ি থেকে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে।