মোঃ মাসুদ ফারুক বাবলু বগুড়া
বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলা খানপুর ইউনিয়ন অন্তর্গত বড়িতলির বাংগালী নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এক বিশেষ অভিযান
পরিচালনা করেন। উক্ত অবৈধ বালু মহলে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে,বালু উত্তোলনের কাজে ব্যবহৃত একটি এক্স ক্যাভেটর মেশিন ও একটি ড্রেজার মেশিন জব্দ করেন। জব্দকৃত মালামাল অত্র এলাকার স্হানীয় ইউ পি সদস্যের জিম্মায় রাখা হয় বলে জানা যায়।সেখানে ঐ মূহুর্তে কাউকে না পাওয়ার কারনে এলাকার তথ্যমতে দুইজনের নামে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটে, গত ১০ই মে (শুক্রবার) বিকাল সাড়ে ৪ ঘটিকার সময় উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি এস এম রেজাউল করিম এ ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন।
জানা যায়, উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের বড়িতলী এলাকায় বাঙালি নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তােলন করে বিক্রি করে আসছিলেন অত্র এলাকার প্রভাবশালী বেশ কয়েকজন ব্যক্তি।
এরই গােপন সংবাদ পেয়ে সেখানে একটি ভ্রাম্যমাণ মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন শেরপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি এস এম রেজাউল করিম । এলাকাবাসীর দেয়া তথ্যমতে বড়িতলী গ্রামের মাে. জেল হােসনের ছেলে মাে. মুন্নাফ হােসেন ও গজারিয়া গ্রামের মৃত আজিজার রহমানের ছেলে মোঃ আবু বক্কর এর বিরুদ্ধ অবৈধ বালু উত্তোলন এর দায়ে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়।
এলাকাবাসীরা জানায়, শুধু উল্লখিত ২ জন নয়,বড়িতলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়র শিক্ষক মাে. শহিদুল ইসলাম, কামাল হােসাইন সহ আরাে বেশ কয়েকজন এই কাজের সাথে জড়িত রয়েছে বলেও জানা যায়।
এ সম্পর্কে জানতে চাইলে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি এস এম রেজাউল করিম বলেন, গােপন সংবাদের ভিত্তিতে বরিতলী গ্রামে অভিযান চালিয়ে বালু উত্তােলন কাজে ব্যবহৃত যন্ত্রাংশ জব্দ করা হয়েছে এবং দুই জনের বিরুদ্ধ নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এই অবৈধ বালু উত্তােলনের সাথে আরাে অন্য কােন ব্যাক্তি জড়িত থাকলে তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে। জনস্বার্থে এ অভিযান ভবিষ্যতে অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানিয়েছেন।