মোঃআব্দুল্লাহ বিশ্বনাথ (সিলেট) প্রতিনিধিঃ
সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদের সদ্য অপসারিত চেয়ারম্যান, জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি (বহিস্কৃত) সুহেল আহমদ চৌধুুরীর বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পরিকল্পিত আক্রমণ ও টাকা ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগে এ মামলা দায়ের করেছেন বিশ্বনাথ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও অলংকারি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. লিলু মিয়া।
বিষয়টি শনিবার (২৪ আগস্ট) নিশ্চিত করেছেন বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রমা প্রসাদ চক্রবর্তী। তিনি জানান, ‘আদালতের নির্দেশে গত বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) থানায় মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে। এটি তদন্তাধীন আছে।’
জানা গেছে, গত ২২ আগস্ট সিলেটের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১ম আদালতে এই মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলায় সুহেল আহমদ চৌধুরীর সাথে জাহাঙ্গীর নামের একজন ছাড়াও ৭ থেকে ৮ জন অজ্ঞাতদের আসামি করা হয়েছে।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, সুহেল আহমদ চৌধুরী আওয়ামী লীগ সরকারের ছত্রছায়ায় বেড়ে উঠা চাঁদাবাজ ও মানহানিকারী প্রকৃতির লোক। তিনি বিএনপি থেকে বহিস্কৃত। বিভিন্ন অপরাধে থানার ১১টি মামলায় তিনি আসামি। ঘটনার দিন গত ১লা এপ্রিল রাত ৯টার দিকে জগন্নাথপুর-সিলেট সড়কের কারিকোনা এলাকার বায়তুর মামুর জামে মসজিদের সামনে থেকে সিলেটগামী বাসে উঠছিলেন মামলার বাদী। তখন ১ ও ২ নাম্বার আসামি পূর্ব শত্রুতার জেরে বাদীকে ঘেরাও করে আক্রমণ করেন। জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেন বাদীর পকেটে থাকা ১ লক্ষ টাকা।
মামলার বাদী মো. লিলু মিয়া জানান, ‘সমাজে কোন অন্যায়কারীদের স্থান নেই। স্বৈরাচার ও তাদের দোসরদের অপকর্মের বিচার নিশ্চিত করতে হবে। আমাকে অমানবিকভাবে আক্রমণ-নির্যাতন ও মানহানি করা হয়েছে। আমি বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে যুুক্ত থাকায় তখন ন্যায় বিচার পাইনি। স্বৈরশাসক ও তাদের চামুন্ডারা আমাদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে সুুষ্ঠু বিচার থেকে বঞ্চিত রেখেছিল। বর্তমানে তাদের জুলুম-নির্যাতন আর দুঃশাসনের দিন শেষে হয়েছে। আমি ন্যায় বিচার প্রত্যাশি।
প্রতিক্রিয়া জানতে যোগাযোগ করলে সুহেল আহমদ চৌধুরী জানান, ‘দলীয় গ্রুপিংয়ের কারণে অপ্রত্যাশিত একই ঘটনার সূত্র ধরে আমার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দেয়া হচ্ছে। থানায় দেয়া প্রথম মামলায় আমার বিরুদ্ধে হয়েছে চার্জশীটও। বিজ্ঞ আদালতে এটি বিচারাধীন আছে। এরআগে একই অভিযোগে হওয়া আরেকটি মামলা বিজ্ঞ আদালত খারিজ করে দেন। এ নিয়ে ৪টি মামলা দেয়া হয়েছে। তথ্য গোপন করে আদালতকে বিভ্রান্ত করে এসব করা হচ্ছে। আমি আইনের দারস্থ হচ্ছি। আমি বিএনপির রাজনীতিতে অতীতেও ছিলাম, দুুঃসময়েও থেকেছি। বর্তমানেও আছি এবং থাকবো।’