ঢাকামঙ্গলবার , ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪
  1. অন্যান্য
  2. অভিযোগ
  3. অর্থনীতি
  4. আইন বিচার
  5. আওয়ামী লীগ
  6. আগুন
  7. আটক
  8. আন্তর্জাতিক
  9. আবহাওয়া
  10. আমাদের পরিবার
  11. আরো
  12. আলোচনা সভা
  13. ইতিহাস ও ঐতিহাসিক
  14. ইসলাম
  15. ইসলামী জীবন
আজকের সর্বশেষ সবখবর

চা খাওয়ার জন্য ঘুষ নেন ইউএনও অফিস সহকারী রায়হান

50
মেহেদি হাসান রিপুল মিঠাপুকুর,রংপুর
ডিসেম্বর ১৭, ২০২৪ ১২:০৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

আমার অতো চাওয়া পাওয়া নাই। মিঠাপুকুরে এমনো লোক আছে দিনে ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা ইনকাম করে। আমিতো তার কাছে চেয়ে টাকা নেইনি। ঘর বরাদ্দ পাওয়ার পর অই মহিলা খুশি হয়ে দুই দফায় বিশ হাজার টাকা চা খাওয়ার জন্য দিছলো। আমি কাজ করে দেই জন্যই অনেকে খুশি হয়ে এক দুই হাজার টাকা চা খাওয়ার জন্য এমনি দেয়। এভাবেই আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর বরাদ্দ দেয়ার নামে ঘুষ গ্রহণের কথা অকপটে প্রতিবেদককে বলছিলেন রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কার্যালয়ের অফিস সহকারী (কাম-কম্পিউটার অপারেটর) মোঃ রায়হান মিয়া।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বাতাসন লতিবপুর গ্রামের মৃত রজব উদ্দিনের স্ত্রী কহিনুর বেগম ও তার ছেলের স্ত্রী বানেছা বেগম গৃহহীনদের জন্য আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর বরাদ্দ চেয়ে গত ১০ আগস্ট ২০২৩ সালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর দুইটি আবেদন করেন।দীর্ঘদিন পর হঠাৎ মিঠাপুকুর ইউএনও অফিস সহকারী রায়হান আবেদন কপি থেকে ভুক্তভোগী বিধবা মহিলা কহিনুরের নাম্বার নিয়ে আবেদন খরছের কথা বলে দুই দফায় ৫০০০ টাকা ঘুষ গ্রহণ করেন। এরপর কহিনুর ও বানেছা বেগম ঘর বরাদ্দ পেয়েছে এই কথা জানিয়ে দুইটি ঘরের কথা বলে দুই দফায় আরো ২০,০০০ টাকা ঘুষ গ্রহণ করেন।

এদিকে দীর্ঘদিন পর উপজেলার রাণীপুকুর ইউনিয়নের ভক্তিপুর আশ্রয়ন প্রকল্পে ঘর বরাদ্দ পায় বিধবা কহিনুর বেওয়া(৭০)। কিন্তু ঘরে উঠার আগেই আশ্রয়নের প্রকল্পের আশেপাশের স্থানীয় ব্যক্তিরা ঘর দখল করে নেয়ায় ঘরে উঠা হয়নি এই বিধবার। একদিকে সুূদ কারবারির কাছে নেয়া টাকার সুদের চাপ অন্যদিকে বরাদ্দ পাওয়া ঘরে উঠতে না পাওয়ায় টাকা ফেরত পেতে চাপ দেয়ার পর স্থানীয় এক নেতার মধ্যস্থতায় ১৩,০০০ টাকা ফেরত পেলেও বাকি ১২,০০০ টাকা ফেরত পেতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন বিধবা এই বৃদ্ধা নারী।

মিঠাপুকুরের রাণীপুকুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তসিলদার মেহফুজ আল রেজা জানান, এসিল্যান্ড স্যারের নির্দেশে রাণীপুকুর ইউনিয়নের ভক্তিপুর আশ্রয়ন প্রকল্পে বৃদ্ধা কহিনুরকে ঘরে উঠিয়ে দেয়ার জন্য গিয়েছিলাম।কিন্তু আমি যাওয়ার পর সেখানে বসবাসকারীরা ঘর তালাবদ্ধ করে চলে যাওয়ায় অবৈধ বসবাসকারী চিহ্নিত করে ঘর বরাদ্দ দেয়া সম্ভব হয়নি।

এবিষয়ে অভিযুক্ত রায়হান মিয়া জানান, ২৫,০০০ টাকা নেইনি। ঘর বরাদ্দ পাওয়ার পর অই মহিলা খুশি হয়ে ২০,০০০ টাকা দিয়েছিলো চা খাওয়ার জন্য। চেয়ারম্যান মেম্বারেরা তো একটা করি ঘরের জন্য ৩০/৪০ হাজার করি টাকা নিছে। অই মহিলা ঘরে উঠতে না পারায় স্থানীয় এক নেতার মধ্যস্ততায় ১৩,০০০ টাকা ফেরত দিয়েছি। তার সঙ্গে আমার আর কোন ঝামেলা নাই।

মিঠাপুকুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিকাশ চন্দ্র বর্মণ জানান, আশ্রয়ন প্রকল্পের আওতায় মিঠাপুকুর উপজেলায় বার শতাধিক ভূমিহীনকে ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। আরো ৩৪০ জন ভূমিহীনকে ঘর বরাদ্দ দেয়ার কাজ চলমান রয়েছে। আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর বরাদ্দ দেয়ার নামে ঘুষ গ্রহণের কোন সুযোগ নেই। এবিষয়ে অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এই সাইটে নিজম্ব খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকে। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো। বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।