প্রধান শিক্ষিকা যোগদান করার পর থেকে নানা অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। এতে বিদ্যালয়ের শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে।এমন অভিযোগ তুলে প্রধান শিক্ষিকার সাথে বাগবিতণ্ডায় জড়ালে এক পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের সহকারী সব শিক্ষক মিলে প্রধান শিক্ষিকার রুমে তালা লাগিয়ে দেন।
রবিবার ২৯ ডিসেম্বর দুপুরে নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার বগুলাগাড়ী স্কুল এন্ড কলেজে এ ঘটনা ঘটে। জানাগেছে, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মনোয়ারা বেগমের বিরুদ্ধে একক আত্বোসাৎ, অর্থ আত্মসাৎ, নিয়োগ বাণিজ্য, স্বজনপ্রীতি ও ভুয়া কাগজপত্র করে রেজুলেশন তৈরী সহ অনেক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।
অভিযোগ করেছেন বিদ্যালয়ের অন্যান্য সহকারী শিক্ষক ও শিক্ষিকাবৃন্দ। বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মিজানুর রহমানের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ২০১৯ সালের জুলাই মাসে প্রধান শিক্ষিকা মনোয়ারা বেগম যোগদানের পর থেকেই অনিয়মের শেষ নেই। এমন কোন দূর্নীতি নেই এই প্রধান শিক্ষিকা করেনি।
ওনার দূর্ণীতির দায়ে আমাদের মানসম্মানের ক্ষতি হয়।এর দায় আমরা নিবো না। এ বিষয়ে একই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুল হাই বলেন, বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদসহ এই প্রধান শিক্ষিকার,নিয়োগ-বাণিজ্য,প্রবেশপত্র,মার্কশীট,ভর্তী ফি, ফরমপূরনসহ সবক্ষেত্রেই দূর্ণীতির সম্পৃক্ততা রয়েছে। এর বিচার হওয়া দরকার। স্থনীয় বাসিন্দা রেজাউল ইসলাম বলেন,এখানকার শিক্ষকের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। আমার বোনের অনুদানের ৫০০০ হাজার টাকাসহ ২০ ছাত্র/ছাত্রীর অনুদানের টাকা এরা প্রতারনা করে খেয়ে ফেলেছে। এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষিকা এ প্রতিবেদকের সাথে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
এ বিষয়ে জানতে বিদ্যালয়ের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জায়িদ ইমরুল মোজাক্কিনের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, এসব শিক্ষকদের ব্যাপার, আমার সাথে তারা কথা বলেছে বসে এটা সমাধান করে দেওয়া হবে। এদিকে স্থানীয় অবিভাবকেরা বলেন, শিক্ষকেরা এসবের দায় এড়াতে পারে না। শান্তিপূর্ণ পরিবেশ তৈরীর মাধ্যমে ফের হৈ-হুল্লোড়ে মেতে উঠুক বিদ্যালয় এমনটাই দাবি তাদের।