ঢাকাসোমবার , ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪
  1. অন্যান্য
  2. অভিযোগ
  3. অর্থনীতি
  4. আইন বিচার
  5. আওয়ামী লীগ
  6. আগুন
  7. আটক
  8. আন্তর্জাতিক
  9. আবহাওয়া
  10. আমাদের পরিবার
  11. আরো
  12. আলোচনা সভা
  13. ইতিহাস ও ঐতিহাসিক
  14. ইসলাম
  15. ইসলামী জীবন
আজকের সর্বশেষ সবখবর

সাবেক এমপি ইন্জিনিয়ার মোজাফফরের পৃষ্ঠপোষকতায় দিগপাইত কলেজে কোটি টাকার নিয়োগ বানিজ্য 

50
রফিকুল ইসলাম, ক্রাইম রিপোর্টারঃ
ডিসেম্বর ৩০, ২০২৪ ৮:২১ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

জামালপুর সদর উপজেলার অন্তর্গত দক্ষিণাঞ্চলের প্রাণকেন্দ্র দিগপাইত ইউনিয়নের সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠ দিগপাইত শামছুল হক ডিগ্রি কলেজে জামালপুর সদর ৫ আসনের সাবেক এমপি আলহাজ্ব ইন্জিনিয়ার মোঃ মোজাফফর হোসেন ও কলেজ অধ্যক্ষ মহির উদ্দিন তালুকদার গংরা ব্যাপক দুর্নীতি, অনিয়ম ও অনৈতিক কর্মকাণ্ড করেছে।

তাদের অপকর্মের তালিকায় রয়েছে – রেজুলেশন টেম্পারিং করে মোটা অঙ্কের উৎকোচ গ্রহনের মাধ্যমে নিয়োগ বানিজ্য করন।

এ বিষয়ে ৩৭.০২.০০০০.১০৫.২৭.০২০.১৯.২৪৮ স্মারক মূলে ও দুর্নীতি দমন কমিশন, ১ সেগুনবাগিচা, ঢাকা, এনফোর্সমেন্ট ইউনিট এর স্মারক নম্বর; ০০.০১.০০০০.১০৯.৩০.০০১.১৯.৬৬৬, ৩১ মার্চ ২০২২ মোতাবেক জানা যায়, জামালপুর সদর-৫ আসনের সাবেক এমপি আলহাজ্ব ইন্জিনিয়ার মোজাফফর হোসেনের পৃষ্ঠপোষকতায় অধ্যক্ষ মহির উদ্দিন তালুকদার, দিগপাইত শামছুল হক ডিগ্রি কলেজ, সদর উপজেলা, জামালপুর – এর বিরুদ্ধে নিয়োগ সংক্রান্ত রেজুলেশন টেম্পারিং করে ঘুষের বিনিময়ে ১০ জন শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগ জেলা শিক্ষা অফিসার মনিরা মুস্তারী ইভা, জামালপুর- অভিযোগ যাচাইপূর্বক প্রতিবেদন দাখিল করেছিল। দাখিলকৃত প্রতিবেদনের আলোকে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের নিয়োগ কার্যক্রম বিধি সম্মত নয় বলে প্রতীয়মান হয়েছে। টেম্পারিং করে যাদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে – ক্রমিক নং-১, রাশিদুল হাসান, প্রশিক্ষক, কৃষি, টেকনিক্যাল, ১৯-০৩-২০০৫ সালে নিয়োগপ্রাপ্ত দেখানো হয়েছে। অথচ উক্ত পদে চার বছর কোর্স বি.এস.সি অর্জন করেছেন ২৬.১২.৬ খ্রি. যা বিধি সম্মত নয়। উক্ত পদে ২০০৫ সালে প্রকৃতপক্ষে নিয়োগপ্রাপ্ত ছিলেন আছমা রহমান (মোবাইল নং- ০১৭১৬০৩২৭৬৯) যিনি বর্তমানে জামালপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।

ক্রমিক নং-২, মোহাম্মদ মাজেদুর রহমান (প্রশিক্ষক, কৃষি, টেকনিক্যাল), ১৯-০৩-২০০৫ এ নিয়োগ দেখানো হয়েছে। উক্ত পদে ২০০৫ সালে নিয়োগপ্রাপ্ত ছিলেন আনিছুর রহমান।

ক্রমিক নং-৩, আবু রেজা মোহাম্মদ মাসুদ (প্রশিক্ষক, কৃষি, টেকনিক্যাল), ১৯-০৩-২০০৫ এ নিয়োগপ্রাপ্ত দেখানো হয়েছে। উক্ত পদে ২০০৫ সালে নিয়োগপ্রাপ্ত ছিলেন শামীমা নাছরিন।

ক্রমিক নং-৪, ফারুক হোসেন তরফদার (প্রশিক্ষক, ভাষা, নন-টেকনিক্যাল) কে ১৯.৩.২০০৫ খ্রি. নিয়োগ দেখানো হয়েছে। অথচ তিনি উক্ত পদের কাম্য শিক্ষাগত যোগ্যতা অর্জন করেছেন ২০.৪.২০০৫ খ্রি. যা বিধি সম্মত নয়। উক্ত পদে ১৯-০৩-২০০৫ সালে প্রকৃতপক্ষে নিয়োগপ্রাপ্ত ছিলেন নূর মোহাম্মদ শামীম ইবনে ইমাম (মোবাইল নং- ০১৭১৬******), যিনি বর্তমানে জামালপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে বাংলার সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।

ক্রমিক নং-৫, মোহাম্মদ খোরশীদ আলম (প্রশিক্ষক, জীববিজ্ঞান, নন-টেকনিক্যাল) কে ১৯.৩.২০০৫ খ্রি. নিয়োগ দেখানো হয়েছে। অথচ তিনি উক্ত পদের কাম্য শিক্ষাগত যোগ্যতা অর্জন করেছেন ১৬.৮.৫ খ্রি. যা বিধি সম্মত নয়। উক্ত পদে প্রকৃত পক্ষে ১৯-০৩-২০০৫ সালে নিয়োগপ্রাপ্ত ছিলেন মোর্শেদা আক্তার স্বপ্না (মোবাইল নং- ০১৭১৮******), যিনি বর্তমানে জামালপুর সদরের রশিদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।

ক্রমিক নং-৬, এর মোহাম্মদ খাজা মিয়া (প্রশিক্ষক, গণিত, পরিমিতি ও পরিসংখ্যান, নন-টেকনিক্যাল), যিনি ১৯-০৩-২০০৫ সালে নিয়োগপ্রাপ্ত দেখানো হয়েছে। অথচ উক্ত পদের কাম্য শিক্ষাগত যোগ্যতা অর্জন করেছে ১৬.৮.৫ সালে যা বিধি সম্মত নয় এবং সে অধ্যবদি টাঙ্গাইল জেলার ধনবাড়ি উপজেলার ইস্পিনজারপুর দাখিল মাদ্রাসায় (EIIN- 114449) গণিত শিক্ষক হিসেবে কর্মরত যার ইনডেক্স ঃ N2100195, ব্যাংক হিসাব নং- 34079093, অগ্রণী ব্যাংক লিঃ মধুপুর শাখা, টাঙ্গাইল । সে একইসাথে দুইচাকুরীতে কর্মরত রয়েছেন । উক্ত পদে প্রকৃতপক্ষে ২০০৫ সালে নিয়োগপ্রাপ্ত ছিলেন মোঃ মাহবুবুল হাসান।

ক্রমিক নং-৭, গোলাম মোর্শেদ, (প্রশিক্ষক, ব্যবস্থাপনা, নন-টেকনিক্যাল) কে ১৯.৩.২০০৫ খ্রি. নিয়োগপ্রাপ্ত দেখানো হয়েছে। অথচ উক্ত পদের কাম্য শিক্ষাগত যোগ্যতা অর্জন করেছেন ১৬.৮.২০০৫ খ্রি. যা বিধি সম্মত নয়। ফলে কাম্য যোগ্যতা অর্জনের পূর্বেই তার নিয়োগ দেখানো হয়েছে। উক্ত পদে প্রকৃতপক্ষে ২০০৫ সালে নিয়োগপ্রাপ্ত ছিলেন মোঃ জহুরুল ইসলাম।

ক্রমিক নং-৮, মীর মোশাররফ হোসেন (প্রদর্শক, কম্পিউটার কাম মেকানিক্স) তিনি উক্ত পদে বর্তমানে কর্মরত নেই। মার্চ/২০০৫ ও মার্চ/২০২০ শিক্ষক হাজিরা খাতায় তার নাম নেই।

ক্রমিক নং-৯, অফিসসহকারী কাম হিসাব সহকারী নুরুন্নাহার ওরফে আল্পনা এসডিএফ (বিশ্ব ব্যাংক এর অর্থায়নে পরিচালিত NGO) তে কর্মরত । ২০০৫ সালে নিয়োগপ্রাপ্ত নয়, টেম্পারিং করে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। ২০০৫ সালের শিক্ষক হাজিরা খাতায় তার নাম নেই। উক্ত পদে প্রকৃতপক্ষে নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তি হলেন মোহাম্মদ জাকির হোসেন (মোবাইল নং- ০১৬১১৭৩৩৯৩৩)

ক্রমিক নং- ১০, ইয়াসির আরাফাত (সহকারী প্রশিক্ষক, শরীরচর্চা) তাকে ১৯.৩.২০০৫ খ্রি. নিয়োগ দেখানো হয়েছে। অথচ মার্চ/২০২০ এর শিক্ষক হাজিরা খাতায় তার নাম পাওয়া যায়নি।

তদন্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা যায়, ১০ জন শিক্ষক কর্মচারী কারিগরী শাখায় নিয়োগ প্রাপ্ত। সাবেক এমপি আলহাজ্ব ইন্জিনিয়ার মোজাফফর হোসেন সভাপতি থাকাকালীন সময়ে অধ্যক্ষ মহির উদ্দিন তালুকদার, দিগপাইত শামছুল হক ডিগ্রি কলেজ, সদর উপজেলা, জামালপুর -এর বিরুদ্ধে নিয়োগ সংক্রান্ত রেজুলেশন টেম্পারিং করে ঘুষের বিনিময়ে ১০ জন শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগের বিষয়ে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়। এছাড়াও একাধিক সূত্র থেকে জানা যায়, সাবেক এমপি ইন্জিনিয়ার মোজাফফর হোসেন কলেজের সভাপতি থাকাকালীন সময়ে কলেজ ফান্ডের সকল টাকা তার যোগসাজশে তছরুপ করা হয়েছে।

এ বিষয়েও শিক্ষা সচেতন মহল আরেকটি তদন্তের জোর দাবী জানিয়েছে। ওই এলাকার শিক্ষা সচেতন মহল ও কলেজ প্রতিষ্ঠার সময়ে যারা প্রত্যক্ষভাবে জড়িত সমাজের সেই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা বলেন, সাবেক এমপি ও অধ্যক্ষ মহির উদ্দিন তালুকদার দিগপাইত শামছুল হক ডিগ্রি কলেজকে দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত করেছিল।

বিশ্বস্ত সূত্রে থেকে আরও জানা যায়, অধ্যক্ষ মহির উদ্দিন তালুকদার আগামী মাসেই অবসরে যাচ্ছেন। তাই কলেজ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অতিদ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা উচিত।

এই সাইটে নিজম্ব খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকে। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো। বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।