মাসুদ হোসেন খান :
মাদারীপুরের কালকিনিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে আজ পর্যন্ত অশান্তি বিরাজ করছে। হিংসা প্রতিহিংসা,ব্যক্তিগত আক্রোশ, দলীয় কোন্দল আর আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র, করে যার প্রভাব পরেছে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির উপর। দীর্ঘ ৫ বছর শান্ত কালকিনি ফের অশান্ত করার পেছনে কারা অর্থ, শক্তি, সাহস দিয়ে, মারাত্মক সংঘর্ষে জড়িয়ে রক্তাক্ত কালকিনিতে পরিনত করেছেন মাদারীপুর – ৩ সংসদীয় আসনের নির্বাচনী এলাকার কালকিনি উপজেলার দূর্গম এলাকাগুলো।
খুন, মারামারি, বোমাবাজি, কুপিয়ে, পিটিয়ে জখম, প্রকাশ্য দিবালোকে মানুষের হাত-পায়ের রগ কেটে দেওয়া সহ বাড়িঘর ভাংচুর লুটতরাজ সহ অসংখ্য ঘটনার সাক্ষী এখন সিডিখান, কয়ারিয়া,বাশগাড়ী,এনায়েতনগর,পূর্ব এনায়েতনগর ,লক্ষ্মীপুর, শিকারমঙ্গল,গোপালপুর,আলীনগর,রমজানপুর,কালকিনি পৌরসভা এবং মাদারীপুর সদর উপজেলার একাংশ খোয়াজপুর, কেন্দুয়া ইউনিয়নে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার মতো অসংখ্য ঘটনা ঘটেছে।
তবে ঘটনার মদদদাতা কারা কোথায় কখন কিভাবে গোপনে কলকাঠি নেড়েছে তার তথ্য হয়তো গোয়েন্দা সংস্থা সহ মাদারীপুর জেলা প্রশাসনের কাছে নেই। তবে এবার বেশ আয়োজন করেই প্রকাশ্যেই নৌকার পক্ষের লোকজনদের এলাকা ছাড়া করার হুমকি ধমকি দেওয়া হয়েছে। এর এই ঘটনাটি ঘটেছে কালকিনি উপজেলার সিডিখান ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড মেম্বার দিদার সরদার এর বাড়িতে। প্রত্যক্ষদর্শী ও মিটিংয়ে থাকা সাধারণ শান্তিপ্রিয় জনগণ ( নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক) জানিয়েছেন গত ৩০ জুন ২৪ তারিখে সিডিখান ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নং ওয়ার্ড মেম্বার দিদার সরদার জরুরি আলোচনার কথা বলে সহস্রাধিক লোকজনকে তার বাড়িতে মিটিং ডাকেন কিন্তু জরুরি আলোচনার নামে বিভিন্নভাবে উস্কানীমূলক মন্তব্য ও প্রতিপক্ষ নৌকা সমর্থকদের উচ্ছেদ সহ নানান আপত্তিকর কথাবার্তা বলে সকলের সমর্থন আদায় করার জন্য হাত উঁচু করে টাকা সংগ্রহের আহবান জানালে গুটিকয়েকজন ছাড়া আগত উপস্থিত বেশীরভাগ সাধারণ জনগণ নিশ্চুপ ছিলেন।
তাদের অনেকেই বলেন – জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সতন্ত্র প্রার্থী তহমিনা বেগম ( ঈগল) প্রতীক এর কাছে, আবদুস সোবাহান গোলাপ (নৌকা) পরাজিত হয়,তার পর থেকেই সতন্ত্র প্রার্থীর লোকেরা,পরাজিত নৌকা সমর্থকদের মারধর, কুপিয়ে মারাত্মক জখম, বাড়িঘরে লুটপাট,ভাংচুর, অগ্নি সংযোগ ,বোমাবাজি,সহ বাড়ি ছাড়া করে, এলাকায় একক আধিপত্য বিস্তার করে নৌকা সমর্থকদের জিম্মি করে রেখেছে, বিশেষ করে অনেক মানুষ এই,আজ ছয় মাস যাবত বাড়ি ছাড়া হয়েছে।
মাননীয় প্রধান মন্ত্রী এর কাছে তারা প্রশ্ন করেছেন – আমরা আপনাকে ভালোবাসি,বলে নৌকায় ভোট দিয়েছি , নৌকায় ভোট দেয়া কি আমাদের অপরাধ? আওয়ামী লীগ করি তাহলে এটা কি আমাদের অপরাধ? আপনার দেওয়া নৌকা প্রতীক সাপোর্ট করে আজ আমাদের কি অবস্থা ,সিডিখান ইউনিয়ন এর ৮নংওয়াড এর মেম্বার, দিদার সরদার তার নিজ বাড়িতে বসে, প্রকাশ্যে মানুষ মারার হুমকি দেয় সেই সভায় ছিলেন,ইউনিয়ন বিএনপি ও জামাত শিবিরের কিছু নেতারা, তারা কাওসার কবিরাজ, (ইউনিয়ন জামাত শিবিরের সাবেক সহ- সভাপতি ) জাকির ফকির,ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক) হারুনুর রশিদ হাওলাদার, আবদুর মান্নান সরদার, দিদার সরদার, আমির হামজা সিকদার, আবদুর রাজ্জাক বেপারি, মিজানুর সেপাই সহ আরো অনেক নাম না জানা,বিএনপি, জামাত এর আগুন সন্ত্রাসিরা। তারা আরো বলেন- হামলা, মামলা, খুন করে তারা শুধু সি ডি খানের জনপদই নয় রক্তাক্ত করছেনা করেছে কালকিনি উপজেলা সমগ্র এলাকা।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক একজন জানান – জাতীয় নির্বাচন নৌকা হেরে যাওয়ার পর শান্ত কালকিনি ফের অশান্ত হয়ে উঠেছে, হুমকির মুখে ফেলছে যুব সমাজ ছাত্র সমাজ সূশিল সমাজকে,এলাকায়, মাদক, জুয়া,এগুলো বিপুল পরিমাণে বেড়ে গেছে,ইউনিয়ন এর ৯ নং ওয়াড স্কুলের পিছেন বসে,জামাতের লোক,কাওসার কবিরাজ এর বাড়ির সামনে বসে তার সহকারীরা,ইয়াবা বিক্রি করছে,আজ এদের জন্য এলাকার যুব সমাজ ধংসের পথে,তাদের ক্ষমতার কাছে প্রশাশন চুপ,মেম্বার দিদার সরদার সে নিজে,ইয়াবা সেবন ও বিক্রি করে,সে যাদের দিয়ে ইয়াবা সহ নানান মাদকদ্রব্য সাপ্লাই করে,তার হলো,রুমান খান,শামিম খান,এমদাদুল কবিরাজ,শহিদুল সরদার, সাহা কবিরাজ,রায়হান সেপাই, আলামিন কবিরাজ।
এদের দাপটে কালকিনির সাধারণ মানুষ জিম্মি হয়ে পরেছে, এদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে চায়না। সঠিক তদন্ত করে,এদের আইন এর আওয়ায় এনে এলাকার যুব সমাজ সহ সর্বস্তরের জনগণকে জিম্মিদশা থেকে মুক্ত করার দাবী সিডিখান ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের।
এই বিষয়ে কালকিনি উপজেলার সিডিখান ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ড মেম্বার দিদার সরদারের মুঠোফোনে কল দিয়ে ঘটনার সত্যতা জানতে চাইলে তিনি অকপটে স্বীকার করে বলেন – এই কথাগুলো নাকি অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে তার মুখ ফসকে বেড়িয়ে গেছে,সন্ধা ৭ টার দিকে এর ভুল স্বীকার করে তার ভিডিও বার্তা চাইলে তিনি কিছুক্ষন পরে দেবেন বলে রাত ১১:২৪ মিনিটে এই সংবাদ লেখা পর্যন্ত আর যোগাযোগ করেননি।