ফরিদপুরের নগরকান্দায় ভ্যান চালক মিলন মুন্সি (৪৫) কে গলা কেটে হত্যার চেষ্টায় থানায় অভিযোগ করেন আহত ভ্যান গাড়ি চালকের ভাই কিরন মুন্সি।
গত ২৭ ডিসেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যা অনুমান ৭ টার সময় উপজেলার পুরাপাড়া বাজার থেকে প্রতিবেশী ফিরোজ মোল্যা (৫৫),পিতা- মৃত মঙ্গল মোল্যা,জাকের মোল্যা(৪৮),জালাল মোল্যা(৪৫) উভয় পিতা – মৃত বাবন মোল্যা, সাজ্জাদ মোল্যা(২৩)পিতা- জালাল মোল্যা গ্রাম- মেহেরদিয়া যাত্রী বেশে বাড়া নিয়ে ব্রাহ্মণডাঙ্গা গ্রামের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয় এবং ব্রাহ্মণডাঙ্গা গ্রামের সিদ্দিক মোল্যাে বাড়ির দক্ষিণ পাশে পাকা রাস্তার উপর পৌছালে চালককে ভ্যান হইতে জোরপূর্বক নামাইয়া আসামীরা পরস্পর কিল,ঘুসি,লাথি চোড় এলোপাথাড়ি পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে ও আসামীদের একজন জাকের মোল্যা ((৪৮) পিতা- মৃত বাবন মোল্যা গ্রাম- মেহের দিয়া তার হাতের ছ্যান দিয়ে গলা পেচাইয়া কোপ দিলে গুরুতর কাটা রক্তাক্ত জখম হয়।মিলন মুন্সির চিৎকারে আশেপাশের মানুষ ছুটে আসায় দুষ্কৃতকারীরা ঘটনা স্থল থেকে পালিয়ে যায়।
গুরুতর আহত মিলন মুন্সিকে প্রথমে নগরকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রিফার্ট করে কর্তব্যরত চিকিৎসক।
এই ঘটনায় ৮ জন ও অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন কে আসামী করে নগরকান্দা থানায় একটি অভিযোগ করেন। আসামীরা হলেন ১।ফিরোজ মোল্যা(৫৫),পিতা- মৃত -মঙ্গল মোল্যা,২।জাকের মোল্যা(৪৮),জালাল মোল্যা(৪৫) উভয় পিতা – মৃত বাবন মোল্যা ৪ সাজ্জাদ মোল্যা(২৩) পিতা- জালাল মোল্যা সর্বসাং মেহেরদিয়া ৫।পায়েক খা(৪৫)পিতা- মৃত আঃ আজিজ খান ৬।আইয়ুব মিয়া(৫৫) পিতা- মৃত- জয়নদ্দিন গ্রাম মেহেরদিয়া ৭।রমজান(৩৮) পিতা- লাল মিয়া ৮।জুয়েল ফকির(৩৫) পিতা- মৃত বাকি ফকির গ্রাম – কাইচাইল থানা- নগরকান্দা, জেলা- ফরিদপুর।
অভিযোগকারী কিরন মুন্সি বলেন আমার ভাই ভ্যান গাড়ী চালায় সে একজন নিরিহ মানুষ। পূর্ব শত্রুতা জেরে ও তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে আসামীরা পরিকল্পিত ভাবে ভাইকে হত্যা করতে চেয়েছিল কিন্তু ভাগ্যের জোরে ভাইয়ের গলা দেহ থেকে বিছিন্ন হয়নি কারন তার মাথায় মানকি টুপি পরা ছিল টুপির কাপুড় কেটে গলা কাটে।মারপিট করে নগদ টাকা ও একটা মোবাইল নিয়ে যায়। মিলনের অবস্থা আশংকাজনক সে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছে।
আসামীরা পলাতক থাকায় তাদের বক্তব্য জানা যায়নি।
নগরকান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সফর আলী বলেন এই ঘটনায় আহত ভ্যান চালকের ভাই কিরন মুন্সি থানায় একটি অভিযোগ করেন। অভিযোগের বিষয় তদন্ত চলছে। প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।