নীলফামারীর জলঢাকায় জেলা পরিষদ সুপার মার্কেটের কোটি টাকা মূল্যের জমি দখল করে নির্বিঘ্নে পাকা স্থাপনা নির্মাণের হিড়িক লেগেছে।
জানাগেছে, নীলফামারী জেলা পরিষদের আওতায় জলঢাকা উপজেলার থানামোড় সংলগ্ন ৫৯ শতাংশ জমি রয়েছে।সেই জমির উপর জেলা পরিষদ সুপার মার্কেট নির্মানের গুঞ্জন অনেক আগে থেকেই শুনা যাচ্ছিলো।
সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ে অনেক আগেই সেটির প্রস্তাবনাও পাটানো হয়েছিলো। সকল জল্পনা- কল্পনার অবসান ঘটিয়ে সর্বশেষ গত বছর মার্কেট নির্মানের চুরান্ত পদক্ষেপ গ্রহন করে জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ। তারই ধারাবাহিকতায় কয়েকবার সার্ভে করার পর জেলা পরিষদের ৫৯ শতাংশ জায়গার ওপর নির্মিত অবৈধ স্থাপনা বিনা নোটিশে উচ্ছেদ করে কর্তৃপক্ষ।এবং গত বছরের মে মাসে সংশ্লিষ্ট জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে সাথে নিয়ে মার্কেট উদ্বোধনের মাইল ফলক উন্মোচন করেন তৎকালীন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মমতাজুল হক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন নাহার ।
কিন্তু গত ৫ই আগষ্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশ ত্যাগ ও জেলা পরিষদ বিলুপ্তির পর পরেই স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী মহল তা দখল করে নেন এবং অবৈধ স্থাপনা তৈরী করেন।সরেজমিনে দেখা গেছে, জেলা পরিষদের জমিতে মজবুদ পাইলিং দিয়ে অর্ধশতাধিক পাকা স্থাপণা নির্মাণ করা হয়েছে এবং বহু স্থাপনার কাজ চলমান রয়েছে।
তবে এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ব্যাক্তি জানান, জেলা পরিষদের এ জায়গায় তারা প্রায় এক যুগ ধরে অবস্থান করছে। মার্কেট নির্মানের কথা শুনে জায়গা ছেড়ে দিয়েছিল কিন্তু ৫ই-আগষ্টের পর সবাই যখন দখল করেছে তাই তারাও তাদের জয়গা দখল করে স্থাপনা নির্মান করেছে।
এ ব্যাপারে নীলফামারী জেলা পরিষদের সহকারী প্রকৈশলী রেজাউল করিম বলেন, আমরা পরবর্তী মিটিংএ এটা নিয়ে আলোচনা করে তারপর পদক্ষেপ নিবো।এ বিষয়ে নীলফামারী জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (উপসচিব) দীপঙ্কর রায় জানান,পরবর্তী মিটিংয়ে বিষয়টি উপস্থাপন করা হবে এবং মার্কেট নির্মাণের একটি ভালো পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে মনে করি।
সচেতন মহল মনে করেন, রাজনৈতিক প্রভাব ও সুষ্ঠু তদারকির অভাবে সরকারি সম্পত্তি প্রভাবশালীদের দখলে চলে যাওয়ায় রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ। জেলা পরিষদকে বিচক্ষণতার সঙ্গে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহন করবে এমনটাই প্রত্যাশা তাদের।