রংপুর নগরীতে মিথ্যা ও হয়রানি মূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে ১৫ নং ওয়ার্ডের আক্কেলপুর এলাকাবাসী।
যাদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। তারা হলেন,
১। মোঃ নুর ইসলাম (৪৫) পিতা-মৃত আব্দুল খালেক, ২। মোঃ রোকনুজ্জামান (৩৪) পিতা-মৃত জয়নাল আবেদীন, ৩। মোঃ রবিউল ইসলাম (৩৬)পিতা-মোঃ গোফরান, ৪। মোঃ গোফরান (৫৫)পিতা-মৃত আব্দুল খালেক, ৫। মোঃ আরমান মিয়া (২৫) পিতা-মৃত খোকন মিয়া। ৬। মোছাঃ দেলোয়ারা বেগম (৪০)স্বামী-মোঃ আলতাব হোসেন, ৭। মোছাঃ রোসনা বেগম (৪৫) স্বামী-গোফরানসহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনকে আসামি করেছেন। সর্ব সাং- আক্কেলপুর, চিলমারীপাড়া, থানা-তাজহাট, মহানগর রংপুর।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুর ১২ টার সময় দর্শনামোড় এলাকায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত মানববন্ধন চলাকালে এলাকাবাসীর পক্ষে দেলোয়ারা বেগম বলেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে একই এলাকার দোলন মিয়া নামে এক ব্যাক্তি হয়রানি মূলক ভাবে সাতজনের নাম উল্লেখ্য করে অজ্ঞাত ৫ জনের নামে মামলা দায়ের করে। আমি এই মামলা প্রত্যাহার সহ মিথ্যা মামলা দায়েরকারী ব্যাক্তির শাস্তির দাবি জানাই।
নাসিমা বেগম বলেন, ময়লা ফেলাকে কেন্দ্র করে দুই মহিলার মাঝে ঝগড়া হয়। ঝগড়া করে দোলনের মা বাড়ি চলে যায়। পরে শুনি দোলনের মায়ের মাথা ফেটে গেছে। ওরা নাকি মেডিকেলে ভর্তি হইছে। আমরা এই মিথ্যা মামলা’র প্রত্যাহার চাই।
এলাকাবাসীর পক্ষে তুহিন মিয়া বলেন, বাদী দোলন মিয়া ছাত্রলীগ লীগের দোষর। তিনি ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাথে সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত ছিল। বিগত সরকারের আমলে দোলন এলাকার সাধারণ মানুষদেরকে মামলা মোকদ্দমা দিয়ে হয়রানি করত। এখনো সে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার চেষ্টা চালাচ্ছে। আমি এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার চাই।
তাজহাট মেট্রোপলিটন থানার অফিসার ইনচার্জ শাহ্ আলম সবদারকে মুঠোফোনে কল দিলে তিনি জানান, মারামারির যে ঘটনাটা ঘটেছিল। তার সত্যতা আছে। সেজন্য আমরা মামলা রুজু করেছি। তদন্তকারী অফিসার তদন্ত করে দেখবেন। যারা এই মামলার সাথে সম্পৃক্ততা নেই। তাদের নাম চারসিট থেকে বাদ পড়বে।
এসময় শফিকুল ইসলাম, গোলজার হোসেন, সিদ্দিকুর রহমান, দুলাল মিয়া, বকুল মিয়া, রওশন মিয়া, রফিক মিয়া, রুবেল মিয়া, আনসার মিয়া, আপেল মিয়া, রাজু মিয়া, লালু মিয়া, জাহাঙ্গীর আলম,মিয়া জান, আক্কেল পুরের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ ইলেকট্রনিকস ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।